আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে লাঙ্গল-জোয়ল যাদুঘরে উঠার উপক্রম
কৃষকেরা জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতেন লাঙ্গল -জোয়াল। কিন্তু কালের বিবর্তনে আদিকালের ঐতিহ্য লাঙ্গল জোয়াল হারিয়ে যাদুঘরে যাওয়ার উপক্রম হয়ে দাড়িয়েছে।

রবিউল আলম সাপাহার নওগাঁ প্রতিনিধি : কৃষি প্রধান দেশ, আমাদের এ বাংলাদেশ। আমাদের এ দেশের গ্রাম-গঞ্জে আগে কৃষকেরা জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতেন লাঙ্গল -জোয়াল। কিন্তু কালের বিবর্তনে আদিকালের ঐতিহ্য লাঙ্গল জোয়াল হারিয়ে যাদুঘরে যাওয়ার উপক্রম হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমান সময়ে অত্যাধুনিক পদ্ধতি আবিস্কৃত হওয়ায় কৃষকেরা ঝুকে পড়েছে পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করতে।
আগে দেখা যেত ভোর বেলায় গ্রামের কৃষকেরা লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে নিয়ে সামনে একজোড়া গরুৃ অথবা মহিষ নিয়ে মাঠে যেত জমি চাষ করতে। “ আ-হা-হা ডানে যা, বামে যা” এভাবে গরু অথবা মহিষ তাড়িয়ে মনের সুখে পল্লীগিতী গাইতে গাইতে চাষ করত জমি। বেলা একটু বাড়লে গ্রামের গৃহবধুরা পান্তা নিয়ে যেত মাঠে। সুনিপুন হস্তে জমির আইলে বসে পান্তা খাওয়াত প্রিয় মানুষটিকে। কি অপরূপ দৃশ্য যা ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোয়া লাগায় লাঙ্গল জোয়াল ছেড়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছে গ্রাম গঞ্জের কৃষকেরা। একটু খরচ বেশী হলেও স্বল্প সময়ে অনেকখানি জমি চাষ করতে পারে কৃষকেরা।
ফলে লাঙ্গল জোয়াল উঠিয়ে রেখে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জমি চাষ করতে ঝুকে পড়েছে কৃষকেরা। এ ব্যাপারে বৃদ্ধ কৃষক মনছুর আলী আক্ষেপ কন্ঠে বলেন“ কুনটি গেল বাপ দাদার আমলের নাঙ্গল জোঁয়াল, হায়রে বৈজ্ঞানিক যুগ আসে সব হারে গেল”। এদিকে পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর ইত্যাদি জমি চাষের যন্ত্র আসায় সামনের দিনে আদি কালের ঐতিহ্য লাঙ্গল জোয়াল যাদুঘরে উঠবে এমনটাই হতাশা বিরাজ করছে আদিকালের বয়োবৃদ্ধ কৃষকদের মনে।