চাঁপাইনবাবগঞ্জে একশত তরুণী পেলেন ল্যাপটপ
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের জয় সিলিকন টাওয়ারে ল্যাপটপ বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্প থেকে ই-কমার্স ও কল সেন্টার এজেন্ট হিসেবে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর একটি করে ল্যাপটপ উপহার পেলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০০ তরুণী। প্রশিক্ষণের পর এখন স্বনির্ভর হয়ে উঠতে তাদের এই ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। ‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ এ প্রকল্পের লক্ষ্য বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের জয় সিলিকন টাওয়ারে ল্যাপটপ বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নিযাম-উল আযীম, রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক ও টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা হোসনে আরা বেগম। সূচনা বক্তব্য দেন- হার পাওয়ার প্রকল্পের পরিচালক রায়হানা ইসলাম।
এসময় প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দিতে সরকারের প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রত্যেককে ৬০ হাজার টাকা দামের একটি উন্নতমানের ল্যাপটপও দেওয়া হলো। সবার পেছনে যে ১ লাখ টাকা করে খরচ হলো, তা জনগণের টাকা। তাই এই প্রশিক্ষণ ও ল্যাপটপকে দেশের ১৭ কোটি মানুষের আশীর্বাদ হিসেবে ধরে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সবাইকে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে হবে। তাহলেই প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
অনুষ্ঠানে ল্যাপটপ পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ই-কমার্স প্রশিক্ষণার্থী দিলনাজ খানম। তিনি বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরুণীরা এই প্রশিক্ষণ পেলেন। আমি প্রশিক্ষণ পেলাম ১৮ বছর সংসার করার পর। সরকারের উদ্যোগের কারণেই এটি সম্ভব হলো। আমি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠলাম। আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।’