গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ-যৌথবাহিনীর অভিযানে দুই ধর্ষক গ্রেফতার
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় স্বামীকে খাবার আনতে পাঠিয়ে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় স্বামীকে খাবার আনতে পাঠিয়ে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর যৌথ অভিযানে অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—চান্দিনা পৌরসভার বেলাশর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আবুল কালাম (৩০) এবং দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সানারপাড় পশ্চিমপাড়া মেম্বার বাড়ির মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে মো. আমির হোসেন রাজু (২৯)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চান্দিনা সেনা ক্যাম্পের একদল সেনাসদস্য ও দেবিদ্বার থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে চান্দিনা ও দেবিদ্বারের নিজ নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
পরদিন মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় তিন মাস আগে ভিক্টিমের (১৬) সঙ্গে তার স্বামীর (২৫) বিয়ে হয়।গ্রেফতারকৃত রাজু ছিলেন ভিক্টিমের স্বামীর পরিচিত। একসময় একটি মামলায় রাজু জামিন পেতে তাকে সহায়তা করেছিলেন।
পরে রাজু তাদের জন্য দেবিদ্বার উপজেলার সানানগর এলাকার আবুল বাশারের বাড়িতে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দেন। রাজু ও তার বন্ধু কালাম প্রায়ই ওই বাসায় আসা–যাওয়া করতেন।
এজাহারে বলা হয়, গত ১ অক্টোবর রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে কালাম প্রথমে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
পরের দিন ২ অক্টোবর রাতে রাজু ও কালাম একত্রে বাসায় আসে। তারা গৃহবধূর স্বামীকে খাবার আনতে চান্দিনা সদরে পাঠিয়ে দেয়।
স্বামী বাইরে চলে গেলে, ওই দুই বন্ধু জোরপূর্বক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। লজ্জা ও ভয় থেকে প্রথমে ভিক্টিম ঘটনাটি গোপন রাখে।পরবর্তীতে বান্ধবীর সহায়তায় ৪ অক্টোবর সে চান্দিনা সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর যৌথ অভিযানে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর দেবিদ্বার ও চান্দিনা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ ধরনের পাশবিক ঘটনা সমাজের জন্য কলঙ্ক। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করলেই এমন অপরাধ কমবে।”