পুকুরের মাঝ দিয়ে বৈদ্যতিক লাইন আতঙ্কে গ্রামের মানুষ
গ্রামের পাশেই বড় একটি পুকুর, তার মাঝেই রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। দেখে মনে হবে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে এমন দৃশ্য। একটু বাতাস বা ঝড়ো হাওয়ায় পুকুরের মাঝে হেলে পড়বে সেই খুঁটি।

তৈয়বুর রহমান নিয়ামতপুর নওগাঁ প্রতিনিধিঃ গ্রামের পাশেই বড় একটি পুকুর, তার মাঝেই রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। দেখে মনে হবে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে এমন দৃশ্য। একটু বাতাস বা ঝড়ো হাওয়ায় পুকুরের মাঝে হেলে পড়বে সেই খুঁটি। এমনই চিত্র দেখা গেছে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মানপুর গ্রামে।
গ্রামবাসী বলছেন, পুকুর পুনঃখননের এক বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্হা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মানপুর গ্রামের ওপর দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক লাইনটি কোঁচপাড়া হয়ে হাজিনগর ও নিয়ামতপুরের সাথে সংযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের পাশে ২.৭৪ একর জায়গা জুড়ে পুকুরের অবস্থান। গত বছরে পুকুর সংস্কার ও পাড় কেটে পুকুরটি বড় করেন মালিক পক্ষ। এতে বৈদ্যুতিক খুঁটিটির মাটি আলগা হয়ে গেছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
মানপুর গ্রামের বাসিন্দা রেখা বেগম বলেন, পুকুর সংস্কারের আগে বৈদ্যুতিক খুঁটিটি পাড়ের ওপরে ছিল। এখন খুঁটিটা পুকুরের ভেতরে হওয়ায় থালাবাসন ধোয়া ও গোসল করতে খুব ভয় লাগে। কখন খুঁটিটা পুকুরের মাঝে ভেঙে পড়ে। এছাড়া ছোট বাচ্চারাও এখানে গোসল করে বলে আতঙ্কে থাকতে হয়।
পুকুর মালিক পক্ষের শামসুজ্জোহা বলেন, পুকুরের আয়তন বৃদ্ধির জন্য পুকুরটি পুনঃখনন করা হয়। পাড় কেটে ফেলায় বৈদ্যুতিক খুঁটিটি পুকুরের ভেতরে চলে যায়। খননের সময় বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানালেও কোন ব্যবস্হা নেয়নি।
নিয়ামতপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মেজবাউল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তারা লিখিতভাবে জানালে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।