গাংনীতে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের হাড়িয়াদহ গ্রামে খায়রুল ইসলাম নামের এক বাঁশ ব্যবসায়ীর গলায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের হাড়িয়াদহ গ্রামে খায়রুল ইসলাম নামের এক বাঁশ ব্যবসায়ীর গলায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।
রবিবার (৬ জুলাই), রাত আনুমানিক ১ টা ৩০ মিনিটের দিকে হাড়িয়াদহ দক্ষিণপাড়াতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী খায়রুল ইসলাম জানান, আমার গলায় দেশীয় অস্ত্র ছোরা ঠেকিয়ে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ডাকাতদল। এসময় একজনকে শনাক্ত করা গেছে বলেও তিনি দাবি করেন।তিনি জানান, বাঁশের ব্যবসা করতে প্রতিদিনই কয়েক লাখ টাকা ঘরে থাকে। তাছাড়া গত ৩ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকায় ঘরেই টাকা ছিলো। এ সুযোগে পরিচিত খড়মপুর গ্রামের কেউ একজন মুখোশধারী এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।ডাকাতি শেষে হৈচৈ করলে ৫/৬ জনের ডাকাতদল সুকৌশলে পালিয়ে যায়।উল্লেখ্য, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতের আধারে কোন কোন চিহ্নিত লোকজন অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন স্থানে বসেও থাকছে। এখনই এসব লোকজনের গতিরোধ করা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন অনেকে।বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ লোকজন রাত হলেই আতংকে সময় কাটাচ্ছেন। অনেক গৃহকর্তা রয়েছে যিনারা গরু পালন করে থাকেন। চোরের অবাধ বিচরণে কোমরে গরুর রশি বেঁধে ঘুমানোর মতো অবস্থা হয়েছে এসব গৃহকর্তাদের। সুতরাং এসব এলাকাগুলোতে রাতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহসহ নিয়মিত পুলিশি টহলের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছেন এলাকাবাসী। একইসাথে প্রতিটা এলাকায় যারা এসব ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে এবং চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবিও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাণী ইসরাইল জানান, ঘটনার সংবাদ শুনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে