চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাখো মুসল্লীর উপস্থিতিতে ডাঃ মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাখো মুসল্লীর উপস্থিতিতে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বদিউজ্জামান রাজাবাবু স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাখো মুসল্লীর উপস্থিতিতে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারী শনিবার জাবালুন নুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, জাবালুন নুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু জার গিফারী।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাবালুন নুর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল।
মাহফিলে আরও তাফসীর পেশ করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সেক্রেটারি জেনারেল হযরত মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল আমিনসহ স্থানীয় ওলামাবৃন্দ। এ ছাড়াও নাসিক ও গজল পরিবেশন করা হয়।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের করণীয় ও বর্জনীয় নিয়ে আলোচনা করেন।
শুক্রবার রাত থেকেই মাঠে আসেন শত শত মুসল্লি। রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, গোমস্তাপুর, ভোলাহাটসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ মাঠে এসে বয়ান শোনার জন্য অপেক্ষা করেন। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও অনেক মুসল্লি আসে।
শনিবার বাদ জোহর বেলা ৩ টার দিকে তিনি ঘোড়াস্ট্যান্ডের পাশের আম বাগান মাঠে বয়ান শুরু করেন। এ মাঠ ছাড়াও পুরুষদের জন্য ৩টি ও নারীদের জন্য ৪টি মাঠ প্রস্তুত করা হয়।
এদিকে সকালে থেকে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে হাজার হাজার মুসল্লি উপস্থিত হন।
মাহফিলের সভাপতি মাওলানা আবু জার গিফারী বলেন, মাহফিল সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। তিনি আরও বলেন, মাহফিলে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ মেডিকেল বুথ প্রস্তুত করা হয়েছিল। পাশাপাশি ঔষধ ও এম্বুলেন্স সেবার জন্য প্রস্তুত ছিল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত ছিল পুলিশ বাহিনী। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে এবং জননিরাপত্তায় পুলিশের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় ৬৫০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলো।