চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৩ বিজিবির অধিনায়কের নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা ও মাদকবিরোধী অভিযানের সাফল্য
সীমান্ত এলাকায় মাদক কারবারি এবং চোরাচালানের বিরুদ্ধে কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হয়েছে
মোঃ ইয়ামিন হাসান শুভ চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাংলাদেশের একটি সীমান্তবর্তী জেলা, যা বহুদিন ধরে মাদক চোরাচালান এবং অন্যান্য সীমান্ত অপরাধের জন্য আলোচিত হয়ে আসছে। এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সবসময়ই ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক হিসেবে লেঃ কর্নেল মোঃ মনির-উজ-জামান, পিএসসি যোগদানের পর থেকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তার যোগদানের পর থেকে সীমান্ত এলাকায় মাদক কারবারি এবং চোরাচালানের বিরুদ্ধে কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হয়েছে।
লেঃ কর্নেল মোঃ মনির-উজ-জামান, পিএসসি দায়িত্ব গ্রহণের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে মাদক এবং অস্ত্র চোরাচালানের বিরুদ্ধে একটি জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার যোগদানের পর থেকে, সীমান্তে বিজিবি’র টহল এবং বিশেষ অভিযানগুলোর সংখ্যা ও কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাদক চোরাচালান রোধে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন।
সম্প্রতি ৫৩ বিজিবি ফতেপুর সীমান্তে যে অভিযানে ১টি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি এবং ৪৩ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করে, সেটি অধিনায়কের দক্ষ নেতৃত্বের উদাহরণ মাত্র। তার অধীনে পরিচালিত এসব অভিযানে বিজিবি শুধুমাত্র মাদক ও অস্ত্র আটক করেই থেমে থাকেনি, বরং সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে আসন্ন দুর্গাপূজার সময় সীমান্ত এলাকায় অরাজকতা এবং সন্ত্রাস প্রতিরোধে অধিনায়ক মনির-উজ-জামান কর্তৃক গৃহীত বিশেষ উদ্যোগগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
অধিনায়ক মনির-উজ-জামানের যোগদানের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বিজিবি’র অভিযানগুলো আরও কঠোর হয়েছে। মাদক পাচারকারীদের দমন করতে বিজিবি নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহলদল পরিচালনা করছে। তার নেতৃত্বে বিজিবি মাদক কারবারিদের মোকাবিলায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে।
অধিনায়ক মনির-উজ-জামানের নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে। তিনি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন, "অস্ত্র এবং মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবি সর্বদা সচেষ্ট থাকবে এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।"
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে এবং মাদক কারবারিদের শিকড় উপড়ে ফেলতে অধিনায়ক মনির-উজ-জামান যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তা স্থানীয় জনগণ ও সরকারের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। তার কঠোর মনোভাব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।