স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে জানুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
স্তন ক্যান্সার নারীদের একটি ভয়ের নাম। তবে কিছু সচেতনতা অবলম্বন করলে এই রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব
স্তন ক্যান্সার নারীদের একটি ভয়ের নাম। তবে কিছু সচেতনতা অবলম্বন করলে এই রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।

১. নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করুন। মাসিক শুরুর ৭ থেকে ১০ দিন পর বা মাসিক শেষ হওয়ার তিন দিন পর স্তন পরীক্ষা করা সবচেয়ে ভালো। প্রতি মাসে একবার নিজে নিজের স্তন পরীক্ষা করুন এবং কোনো অস্বাভাবিকতা দেখলে সতর্ক হোন। গবেষণায় দেখা গেছে, এ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ২০ বছরের বেশি বয়সী সব নারীর মাসে অন্তত একবার এবং ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের বছরে একবার চিকিৎসকের মাধ্যমে স্তন পরীক্ষা করানো উচিত। ৪০ বছরের কম বয়সীদের প্রতি তিন বছরে একবার চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা করানো দরকার।
২. শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খান। আমাদের শরীরে বিপাক প্রক্রিয়ায় ‘ফ্রি রেডিক্যাল’ তৈরি হয়, যা কোষকে ক্যান্সার কোষে পরিণত করতে পারে। শাকসবজি ও ফলমূলে থাকা ভিটামিন-এ, সি ও ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা এই ফ্রি রেডিক্যালগুলো ধ্বংস করে।

৩. চর্বিজাতীয় খাবার কমিয়ে দিন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লাল মাংস, গ্রিলড মাংস বা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় রান্না করা মাংস এবং চর্বিজাতীয় খাবার কম খান, তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন সপ্তাহে দু-তিন ঘণ্টা। ব্যায়াম করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ২০ শতাংশ কমে আর ছয় ঘণ্টা করলে তা ২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
৫. অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, মেনোপজের পর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ কমে।
৬. জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বিকল্প বিবেচনা করুন। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলগুলোয় ইস্ট্রোজেন থাকে, যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৭. কিছু বাড়তি বিষয় মনে রাখবেন–
lসাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় ধরে বা বারবার অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

lএক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে অন্তর্বাস পরে ঘুমান, তাদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
lগবেষণায় আরও দেখা গেছে, শিশুকে স্তন্য পান করালে এবং ৩০ বছরের আগেই সন্তান ধারণ করলে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েক গুণ কমে যায়।
লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।



