৪৫ বছর আগের শাড়ি পরে স্মৃতিকাতর জয়া আহসান
মা রেহানা মাসউদের বিয়ের শাড়ি পরে হাজির হলেন দুই বাংলার আলোচিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কতগুলো ছবি পোস্ট করেছেন এই অভিনেত্রী। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি শাড়ি পরে রয়েছেন, যে শাড়ির সঙ্গে তাঁর রয়েছে অজস্র স্মৃতি। সেই স্মৃতির অংশবিশেষ শেয়ার করলেন

মা রেহানা মাসউদের বিয়ের শাড়ি পরে হাজির হলেন দুই বাংলার আলোচিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কতগুলো ছবি পোস্ট করেছেন এই অভিনেত্রী। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি শাড়ি পরে রয়েছেন, যে শাড়ির সঙ্গে তাঁর রয়েছে অজস্র স্মৃতি। সেই স্মৃতির অংশবিশেষ শেয়ার করলেন।
জয়া লিখেছেন, এই ছবিগুলোতে যে দুটো শাড়ি দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর বয়স ৪৫ বছর; আসলে এগুলো আমার মায়ের বিয়ের শাড়ি। একটা বিয়ের, একটা বৌভাতের। বাবা কিনে নিয়ে গেছিলেন কলকাতা থেকেই। সোনার সুতোয় কাজ করা এক চিরন্তন রূপকথা, এখনও ঠিক যেন নতুন নতুন বিবাহের গন্ধে ভরপুর।
দুই বোনের মধ্যে এই শাড়ি নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যেত- এমনটাই জানিয়ে জয়া বললেন, এই দুটো শাড়ি নিয়ে সেই কিশোরি বেলা থেকে আমরা দুই বোন কি কাড়াকাড়ি টাই না করেছি! বিবাদ হোক বা খুনসুটি যাই বলি না কেন, সেটা হতো কে কোনটা নেবে তাই নিয়ে! আমি বলতাম নীল টা আমার, বোনের পছন্দ ছিল টুকটুকে লাল টা! কখনও কখনও কিশোরি খেয়ালে পছন্দ যে ওলোট পালট হতো না তা নয়, পরে বুঝেছি এই দুটো শাড়ি-ই আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদের মতো, আর তাতেই এত টান।
স্মৃতিকাতর হয়ে জয়া লিখলেন, মৌসুমী ভৌমিকের গানের সেই যে মরমী লাইন টা, “কিছু ফেলতে পারি না” আমার হয়েছে সেই অবস্থা। সব কিছুর উপরেই স্নেহ, একটা অদ্ভুত মায়া। আমার মায়ের যত পুরাতন শাড়ি, মায়ের বিয়ের শাড়ি, আমার জন্মের আগে মায়ের স্বাদ ভক্ষণের শাড়ি সব রয়ে গেছে আমার কাছে।
আলমারির যত্নে, ন্যাপথলিনের রূপকথায় আত্মকথার ইতিহাস। আর আমার মাতৃতান্ত্রিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মাত্র।
এই ফটোশুট সকলের পছন্দ হবে জানিয়ে বললেন, এবার হঠাৎ করেই সুযোগ হলো এই দুটো শাড়ি পরার, সুন্দর করে স্টাইলিং করে ছবিগুলো তুললাম…আশা করি সকলের পছন্দ হবে এই ফটোশ্যুট ।
চাঁপাই প্রেস/সূত্র_কালের কন্ঠ