চ্যাটজিপিটিতে বন্ধুকে হত্যার কৌশল জিজ্ঞেস-এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে স্কুলের ডিভাইস ব্যবহার করে ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটিকে ‘আমার বন্ধুকে কিভাবে হত্যা করব?’-এ ধরনের প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

চ্যাটজিপিটিতে বন্ধুকে হত্যার কৌশল জিজ্ঞেস-এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
সংগ্রহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে স্কুলের ডিভাইস ব্যবহার করে ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটিকে ‘আমার বন্ধুকে কিভাবে হত্যা করব?’-এ ধরনের প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনটি বলা হয়েছে, স্কুলের কম্পিউটার মনিটরিং সিস্টেম গ্যাগল ওই বার্তাটি শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে পর্যালোচনার জন্য চিহ্নিত করে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএফএলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুল নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী গ্যাগলের সতর্কবার্তা পাঠানো হয় ক্যাম্পাস পুলিশের কাছে, যারা দ্রুতই ফ্লোরিডার সাউথওয়েস্টার্ন মিডল স্কুল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে শনাক্ত ও আটক করে।

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরটি জানায়, সে ‘মজা করছিল বা বন্ধুকে ট্রল করছিল।’ তবে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল সহিংসতার সংবেদনশীল ইতিহাসের প্রেক্ষিতে পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেয়।

ভোলুশিয়া কাউন্টি শেরিফস অফিস নিশ্চিত করেছে, ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় কিশোর অপরাধ সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ ছোটদের এআই ব্যবহারে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করেছে।

শেরিফ অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরেকটি ‘রসিকতা’ যা ক্যাম্পাসে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অভিভাবকরা, দয়া করে সন্তানদের সঙ্গে কথা বলুন, যাতে তারা একই ভুল না করে।এর আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর আত্মহত্যা করে, অভিযোগ উঠেছে— চ্যাটজিপিটি তাকে একাকী করে তুলেছিল এবং আত্মহত্যার পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করেছিল।

ছেলেটির মা-বাবা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারা অভিযোগ করেন, চ্যাটবট তাকে মানবিক সাহায্যের দিকে না ঠেলে বরং আত্মঘাতী চিন্তায় উৎসাহ দিয়েছিল।

এদিকে গ্যাগল দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। অনেক সময় ভুল সতর্কবার্তা তৈরি করা এবং স্কুলে নজরদারিমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করার অভিযোগ রয়েছে এটির বিরুদ্ধে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল-নির্ভর মনিটরিং সিস্টেমগুলো শিক্ষার্থীদের স্কুল অ্যাকাউন্ট ও ডিভাইসে লেখা প্রায় সবকিছুই নজরদারি করে।

হাজার হাজার স্কুল এই ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কথোপকথন স্ক্যান করে সম্ভাব্য ঝুঁকির সংকেত শনাক্ত করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে।

চাঁপাই প্রেস/সূত্র_দৈনিক কালের কণ্ঠ