দুমকীতে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
চাঁদার টাকা না পেয়ে বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান লাল মিয়ার বিরুদ্ধে

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁদার টাকা না পেয়ে বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান লাল মিয়ার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সাতানি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ বেল্লাল হোসেনের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযোগ না নেয়ায় পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাদাবির মামলা করা হয়েছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধার দিকে সাতানি গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মুদি ব্যবসায়ি মোঃ বেল্লাল হোসেনের নতুন বাড়িতে একই গ্রামের এমদাদ হাওলাদারের ছেলে মিজানুর রহমান লাল মিয়া, সাবু ও সাইফুলের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাথারী মারধর, নগদ টাকা-পয়সাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট ও বসতঘরে ভাঙচুর চালায়।
ভুক্তভোগী বেল্লাল হোসেন জানান, তিনি সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদারের দুমকিস্থ নির্মাণাধীন মসজিদ কমপ্লেক্সের দেখাশোনার কাজ করছেন। গত কয়েকদিন যাবত যুবদল নেতা মিজানুর রহমান লাল মিয়া তার কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় ঘটনার দিন বিকেল থেকে কয়েকবার তার বসত বাড়িতে এসে তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য গালিগালাজ করে এবং টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে লাল মিয়া, সাবু ও সাইফুলের নেতৃত্বে ১০/১২জন দুর্বত্তরা তার বসতঘরের দরজা জানালা পেটাতে থাকে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিগত দিনে লাল মিয়ার পরিবার এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। জমি জমার বিক্রি সংক্রান্ত জের ধরে রুহুল আমিন হাওলাদার এর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। জুলাই বিপ্লবের পরে সুযোগ বুঝে বিএনপিতে যোগদিয়ে প্রতিবেশীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন লাল মিয়া।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান লাল মিয়া বলেন, ঘটনাটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বেল্লাল আ'লীগের দোসর। উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারন সম্পাদক। বুধবার সকাল বেলা ওর সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে, তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সে নাটক সাজিয়েছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে এসআই আমিনুলকে ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অভিযোগ দিতে বলা হলেও শুনেছি তারা কোর্টের আশ্রয় নিয়েছে।