জুলাই সনদে যারা স্বাক্ষর করেননি তারাও ভবিষ্যতে করবেন,আশা সালাহউদ্দিনের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন। যারা দুই-একজন স্বাক্ষর করেন নাই আশা করি তারাও ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবেন। সেটা উস্মুক্ত রাখা আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন। যারা দুই-একজন স্বাক্ষর করেন নাই আশা করি তারাও ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবেন। সেটা উস্মুক্ত রাখা আছে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ-২০২৫ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটা এই জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। এটা আমাদের কাছে সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে যতদিন বাংলাদেশের ইতিহাস থাকবে।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আজকে শহীদদের রক্তদান, এই জাতির আকাংখা, জনপ্রত্যাশা সবকিছু পূরণে যাত্রা শুরু হল। এগুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র কাঠামো আমরা অর্জন করতে পারব। যে রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, এই যাত্রার মধ্য দিয়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নির্মিত হবে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মিত হবে, রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রের কোনও অঙ্গ আরেকটি অঙ্গের ওপর কর্তৃত্ব প্রদর্শন করতে পারবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্য থেকে সব অঙ্গ সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষা করে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা হবে ইনশাল্লাহ। সেই দিনের আশায় আমরা আছি। সামনের দিনে আমাদের অনেক কাজ। এই কেবল যাত্রা শুরু।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন। যারা দুই-একজন স্বাক্ষর করেন নাই আশা করি তারাও ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবেন। সেটা উস্মুক্ত রাখা আছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে হবে
এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সাংবিধানিকভাবে আর্টিকেল ৬৫ এর সাব সেকশন টু'তে বলা আছে, বাংলাদেশের প্রত্যেক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার মধ্যে সরাসরি প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তিনশ জন জাতীয় সংসদ সদস্য হবেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য থাকবেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, নির্বাচন কীভাবে হবে সেটি সংবিধানে লেখা আছে। এখানে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। এরপরও প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বসতে চাইলে অবশ্যই বসা হবে।
এর আগে বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। এর কিছু আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।
সেখানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আমরা যে ঐক্যের সুর বাজালাম, সেই সুর নিয়েই নির্বাচনে যাব। যারা স্বাক্ষর করলেন, তারা প্রয়োজনে আবার বসেন। ঠিক করেন কীভাবে নির্বাচন সুন্দর করা যায়। যেনতেন নির্বাচন করে কোনও লাভ নেই।
রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মানুষ যেন মনে রাখে এই সনদে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করেছে। পুলিশ এসে কেন ধাক্কাধাক্কি করবে। নিজেদের নির্বাচন নিজেরা করবো। কারও এসে আমাদের সোজা করতে হবে না, দেখিয়ে দিতে হবে না, ধাক্কাধাক্কি করতে হবে না।
বক্তব্যের আগে প্রধান উপদেষ্টাসহ সনদে স্বাক্ষর করেন বিএনপি, জামায়াতসহ ২৫টি রাজনৈতিক দলের নেতারা।
চাঁপাই প্রেস/সূত্র_সমকাল