সামান্য পিঠের ব্যথা-কিডনির রোগের সম্ভাবনা? কীভাবে বুঝবেন

যারা সারাদিন এক জায়গায় বসে বসে কাজ করেন তাঁদের জন্য কোমর বা পিঠের ব্যথা হওয়াটা অত্যন্ত সাধারণ এক বিষয়। শুধু এক জায়গায় বসে থাকাই তো নয়, হঠাৎ ভারী কিছু তোলা, দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা, পেশির টান কিংবা হাড়ের সমস্যা থেকেও ব্যথা হতেই পারে। তবে আপনি কি জানেন, এই পিঠে বা কোমরে ব্যথা কিন্তু বড় কিডনির রোগের ইঙ্গিত হতে পারে।

সামান্য পিঠের ব্যথা-কিডনির রোগের সম্ভাবনা? কীভাবে বুঝবেন
সংগ্রহীত ছবি

যারা সারাদিন এক জায়গায় বসে বসে কাজ করেন তাঁদের জন্য কোমর বা পিঠের ব্যথা হওয়াটা অত্যন্ত সাধারণ এক বিষয়। শুধু এক জায়গায় বসে থাকাই তো নয়, হঠাৎ ভারী কিছু তোলা, দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা, পেশির টান কিংবা হাড়ের সমস্যা থেকেও ব্যথা হতেই পারে। তবে আপনি কি জানেন, এই পিঠে বা কোমরে ব্যথা কিন্তু বড় কিডনির রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষ করে যদি কিডনিতে পাথর জমে তাহলে কোমরে বা পিঠে ব্যথা অনুভূত হয়। কী ভাবে বুঝবেন পিঠের ব্যথা কিডনির রোগের লক্ষণ কিনা?

কিডনি শরীরের দু’পাশে, পিঠের নিচের অংশে অবস্থিত। তাই কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে কোমরের দুই পাশেই ব্যথা অনুভূত হয়। তবে এই ব্যথা সাধারণ কোমর ব্যথার মতো নয়। এতে কিছু বিশেষ লক্ষণ থাকে, যেমন —

১. ব্যথার ধরন – কিডনির ব্যথা সাধারণত মৃদু বা গভীর চাপের মতো হয় এবং এক পাশ থেকে অন্য পাশে ছড়িয়ে যেতে পারে। হঠাৎ তীব্রও হতে পারে, বিশেষ করে কিডনিতে পাথর হলে।

২. প্রস্রাবের পরিবর্তন – কিডনির সমস্যায় প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয়ে যেতে পারে, প্রস্রাবে রক্ত আসতে পারে বা ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

৩. জ্বর ও কাঁপুনি – কিডনিতে সংক্রমণ হলে কোমর ব্যথার সঙ্গে জ্বর, শরীরে কাঁপুনি ও অসুস্থতা অনুভূত হয়।

৪. বমি বমি ভাব ও দুর্বলতা – কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে, ফলে দুর্বলতা ও বমি বমি ভাব দেখা দেয়।

৫. পা ফোলা – কিডনির সমস্যা থাকলে শরীরে পানি জমে পা, গোড়ালি বা চোখের নিচে ফোলা দেখা দিতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন এটি কিডনির ব্যথা?

যদি কোমরের ব্যথার সঙ্গে প্রস্রাবের পরিবর্তন, জ্বর, শরীর ফুলে যাওয়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদি থাকে, তবে এটি কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সাধারণ কোমর ব্যথা চলাফেরার ভঙ্গি বদলালে বা বিশ্রামে কিছুটা কমে যায়, কিন্তু কিডনির ব্যথা তেমনভাবে কমে না।কিডনির ব্যথা অনেক সময় তীব্র হয়ে হঠাৎ শুরু হয় এবং কুঁচকি বা তলপেট পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়।

কী করবেন?

কোমরে ব্যথা যদি কয়েক দিনের বেশি থাকে, বিশেষ করে প্রস্রাবের পরিবর্তন বা অন্য উপসর্গ যুক্ত হয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি বা এক্স-রে করে কারণ নির্ণয় করা সম্ভব।

কোমর ব্যথা পেশির সাধারণ টান থেকে শুরু করে কিডনি রোগ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে প্রস্রাবের পরিবর্তন, জ্বর, শরীর ফুলে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে তা কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই সচেতন থাকা এবং দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

সূত্র-9tvbangla