নিয়ামতপুরে এক নারীকে আক্রমনকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে বাড়িতে আশ্রয় দেয়ায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে মারধর করে জখম
নিয়ামতপুরে প্রতিবেশী এক নারীকে আক্রমনকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে বাড়িতে আশ্রয় দেয়ায় নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে মারধর করে জখম ও আহত করেছে দূর্বৃত্তরা।

তৈয়বুর রহমান নিয়ামতপুর নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নিয়ামতপুরে প্রতিবেশী এক নারীকে আক্রমনকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে বাড়িতে আশ্রয় দেয়ায় নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে মারধর করে জখম ও আহত করেছে দূর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা করেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গুজিশহর সাতপুকুরিয়া গ্রামে। আহত ছাত্রী ওই গ্রামের তৈয়ব আলীর মেয়ে এবং গুজিশহর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের প্রতিবেশী শামীমা (২৫) ও সাথী খাতুনের (৩৫) মধ্যে পূর্বের জেরে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে শামীমার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে আক্রমন করতে উদ্যত হয় সাথি ও তার স্বজনরা। এমন ঘটনায় জীবন বাঁচাতে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির ভিতর দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় শামীমা। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভে জ্বলে উঠেন সাথী ও তার স্বজনরা। শামীমাকে কেন আশ্রয় দেয়া হলো এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমাইয়া ও তার বোন খাদিজার উপর আক্রমন করে সাথী ও তার সাঙ্গরা। এতে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী সুমাইয়া। পরে তাকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি করা হয়। আক্রমনকারী সাথী ওই গ্রামের নজরুলের স্ত্রী।
শিক্ষার্থী সুমাইয়ার মা জহুরা জানান, নিজেকে রক্ষা করতে প্রতিবেশী শামীমা তার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। এ কারনেই রাগে জ্বলে উঠেন সাথী ও তার স্বজনরা। এ কারনেই সঙ্গবদ্ধ হয়ে আমার মেয়েদের উপর আক্রমন করে তারা। এ ঘটনার বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।