বাঘায় প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও সহকারি শিক্ষিকার বদলি আবেদন প্রত‍্যাহারে দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহীর বাঘায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম,দুর্নীতি ও সহকারী শিক্ষিকার বদলি আবেদন প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে অভিভাবক বৃন্দ

বাঘায় প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও সহকারি শিক্ষিকার বদলি আবেদন প্রত‍্যাহারে দাবিতে মানববন্ধন

বাঘা রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম,দুর্নীতি ও সহকারী শিক্ষিকার বদলি আবেদন প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে অভিভাবক বৃন্দ। বাঘা উপজেলার গড়গিড় ইউনিয়নের আশরাফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন করেছে অভিভাবক বৃন্দ। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিদ্যালয় মাঠে এই মানববন্ধন করা হয়। 

অভিভাবক বৃন্দরা জানান, বিদ্যালয়ে বাচ্চাদের পানি খাওয়ার জন্য নেই কোন টিউবওয়েল। বিদ্যালয়ে শৌচাগার থাকলেও তাতে পানির ব্যবস্থা নেই। কোমলমতি বাচ্চাদের দিয়ে শৌচাগার পরিষ্কার করানো। ২০১৩ সালে অনুদানকৃত আলমারী নিজ বাড়িতে ব্যাবহার করছেন প্রধান শিক্ষক। 

সরকারি বরাদ্দকৃত ল‍্যাপটপ বিদ্যালয়ের কাজে ব্যবহার না করে প্রধান শিক্ষকের ছেলে নিয়ে গেছে ঢাকাতে। স্কুলের মাঠ সংস্কারকাজের বরাদ্ধকৃত দুই লক্ষ টাকার নেই কোন হদিস। হয় না কোন মা সমাবেশ । প্রতিবছর স্কুল সংস্কারকাজে আসা টাকা লোপাট করেছে এমন অভিযোগও  করেন তারা। তারা আরও জানান সহকারি শিক্ষিকা ফিরোজা বেগম সবার প্রিয়। তিনি যত্নসহকারে পাঠদান করান।আমরা তার বদলি আবেদন প্রত‍্যাহারের জোরদাবি জানাচ্ছি ।

বদলি আবেদনকারি শিক্ষিকা ফিরোজা বেগম বলেন,প্রধান শিক্ষকের মতামতে বাইরে কিছু করলেই আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তিনি। বাধ‍্য হয়েই অন‍্যত্র বদলির আবেদন করেছি।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন,এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। শুধু ল‍্যাপটপ স্কুলে রাখিনি হারিয়ে যাবে বলে। 

এ বিষয়ে আশরাফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা জানান,আপনাদের মাধ‍্যমে বিষয়টি অবহিত হয়েছি। স্কুলে কয়েকবার পরিদর্শনে গিয়েছি কখনও ল‍্যাপটপ দেখিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আকতার জানান,বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।