বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী অপসারণ অভিযান
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অবৈধ নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং:ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অবৈধ নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাজার এলাকা ও অলিগলিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাস্তার লাইটপোস্ট, বৈদ্যুতিক খুঁটি, দেয়াল ও বিভিন্ন বিলবোর্ডে লাগানো নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী খুলে ফেলছেন প্রশাসনের কর্মীরা। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নের পাশাপাশি সড়ক নিরাপত্তা ও পরিবেশগত সৌন্দর্য বজায় রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি কার্যকর হয়। আচরণবিধি অনুযায়ী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে কিংবা নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড বা দেয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। একইসঙ্গে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবন, সড়কবাতি, গাছ, সেতু ও বিদ্যুৎ খুঁটিতে প্রচার সামগ্রী টাঙানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এছাড়া আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে বা পরে যেসব প্রচার সামগ্রী বেআইনিভাবে স্থাপন করা হয়েছে, তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রার্থী বা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নিজ দায়িত্বে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় প্রশাসন তা অপসারণ করবে এবং এর জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, তফসিল ঘোষণার পর বুড়িচং উপজেলার কিছু এলাকায় প্রার্থীরা নিজ উদ্যোগে তাদের প্রচার সামগ্রী অপসারণ করলেও বিভিন্ন সড়ক ও বাজার এলাকায় এখনও বিপুলসংখ্যক পোস্টার ও ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন কঠোরভাবে মাঠে নেমেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান বলেন, “ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অবৈধ পোস্টার ও ব্যানার অপসারণে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



