ভোলাহাটে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর নামে মামলা
বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ভোলাহাট থানায় মামলাটি করেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৮ নেতাকর্মীর নামে চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার মামলা হয়েছে।
ভোলাহাট উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে(৩ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার রাতে ভোলাহাট থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় শুক্রবার একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো.শাহিনুর রহমান।
মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলী শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল খালেক, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. পিয়ার জাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রাব্বুল হোসেনকে আসামি করা হয়।
এছাড়া এ মামলায় উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সাইফুল,দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, দলদলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আরজেদ আলী ভুটু, জামবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আয়রন,উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বাবলু, সাধারণ সম্পাদক তোফায়ল,সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো.গোরিবুল্লাহ দবির, যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. কাউসার,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আশরাফুল, ছাত্রলীগের সভাপতি রফাত হোসেন (টুইংকেল),সাধারণ সম্পাদক আহসানসহ ৩৮ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ আগস্ট বিকেলে মামলার বাদী আব্দর রশিদ সুরানপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় বিবাদী ইয়াসিন আলীর (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) নির্দেশে আরজেদ আলী ভুটু পথরোধ করে কলেজ মোড় এলাকা সমাবেশ করার জন্য ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।
বাদীর অভিযোগে বলেন,আমি মাটিতে অজ্ঞান হইয়া পড়ার পর আসামি মো. হালিম, রাজু, আলিম, তোরিফ আমার ঘরে ঢুকে গরু বিক্রি করা নগদ ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং এ ঘটনা জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
রাজনৈতিক প্রতিকূল অবস্থার কারণে এ মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে মামলার আর্জিতে এর কারণ উল্লেখ করা হয়।
ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিনুর রহমান বলেন, মামলায় একজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।