বুড়িচংয়ে খেজুরের রস সংগ্রহে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গ্রামাঞ্চলে এখন খেজুরগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গাছিরা। হেমন্তের স্নিগ্ধ হাওয়ায় যখন পাঁকা ধানের সোনালী আভা চারদিকে নবান্নের বার্তা ছড়াচ্ছে, তখনই শুরু হয়েছে শীতের আগমনী প্রস্তুতি

বুড়িচংয়ে খেজুরের রস সংগ্রহে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছিরা

মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং:কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গ্রামাঞ্চলে এখন খেজুরগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গাছিরা। হেমন্তের স্নিগ্ধ হাওয়ায় যখন পাঁকা ধানের সোনালী আভা চারদিকে নবান্নের বার্তা ছড়াচ্ছে, তখনই শুরু হয়েছে শীতের আগমনী প্রস্তুতি। ভোরের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কোমল রশ্মি যখন ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরবিন্দুতে খেলা করে, তখনই প্রকৃতি জানান দিচ্ছে— শীত আসছে, আর তার সঙ্গে আসছে খেজুরের রসের মৌসুম।

কার্তিক ও অগ্রহায়ণ— এই দুই মাস বাঙালির নবান্ন উৎসবের মাস। নতুন ধানের পিঠা-পায়েসের আনন্দে আত্মীয়তার বন্ধন যেমন দৃঢ় হয়, তেমনি এই উৎসবের অপরিহার্য উপকরণ হলো খেজুরের গুড়। সেই গুড় তৈরির প্রস্তুতি এখন পুরোদমে চলছে বুড়িচংয়ে। 

 শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা রুবেল হোসেন জানান, এক সময় অনেক খেজুর কাছ কেটেছি তখন অনেক রস সংগ্রহ করতাম। এখনো রসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কিন্তু দিন দিন খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, খেজুর গাছ একদিকে ছায়া ও অক্সিজেন দেয়, অপরদিকে তার রস ও গুড় গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করে। তাই বিলুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্য রক্ষায় এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন,খেজুরের রস সংগ্রহের সময় হাড়ি অবশ্যই জাল বা নেট দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এতে বাদুড় বা অন্যান্য প্রাণীর সংস্পর্শ এড়ানো সম্ভব হয়, ফলে রস থাকে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।

 এটি বাঙালির শীতকালীন ঐতিহ্যেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই বিশুদ্ধতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তারা।