সরাইলে ৬৯ তম হরিনাম সংকীর্তনে হাজারো ভক্তের ঢল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শেষ হয়েছে ১৬ প্রহর ব্যাপি বৃহত্তম হরিনাম সংকীর্তন

সরাইলে ৬৯ তম হরিনাম সংকীর্তনে হাজারো ভক্তের ঢল

সুজিত কুমার চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শেষ হয়েছে ১৬ প্রহর ব্যাপি বৃহত্তম হরিনাম সংকীর্তন। উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুরে শ্রী শ্রী সাধক শ্যামানন্দ আশ্রমের উদ্যোগে বিশ্ব শান্তি ও জীবের মঙ্গল কামনায় ৬৯ তম বার্ষিক হরিনাম মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গীতা পাঠ শেষে অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে সোমবার ভোরে শেষ হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে এই মহোৎসবে। আশ্রম কমিটির সভাপতি প্রদীপ ভৌমিক জানিয়েছেন ৬৯ বছর যাবৎ আশ্রমের উদ্যোগে এই কীর্তন সম্পন্ন হচ্ছে। সহসভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অমরেশ সরকার জানায়, এই মহোৎসবকে ঘিরে হাজারো ভক্তের সমাগম হয়েছে। গ্রামে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ভক্তের পদভারে মুখরিত নিয়ামতপুর। সাধারণ সম্পাদক জগদীশ সরকার বলেন-১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সাধক শ্যামানন্দ বাবার আশ্রমটি আমাদের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। ১৯৫৬ সাল হতে এই আশ্রম অঙ্গনে মহানাম সংকীর্তন উৎসব পালন শুরু করেন সাধক শ্যামানন্দ বাবা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তের আগমন ঘটেছে এই উৎসবে। এই সাধকের আশ্রমে যাতায়াতের সুব্যবস্থা না থাকায় ভক্তবৃন্দের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

মহোৎসবে সমবেত ভক্তবৃন্দের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে বলেন-সাধক শ্যামানন্দ বাবার আশ্রম আয়োজিত মহোৎসবে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। তিনি আরো বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষের সম্প্রীতির বাংলাদেশ। উল্লেখ্য সাধক শ্যামানন্দ ১৯৭০ সালে প্রয়াত হন।