৩ বছরেও পুন: নির্মান হয়নি নাসিরনগরের বিধ্বস্থ ব্রীজ/ফেরী পারাপারের নামে চলে জনভোগান্তি
দীর্ঘ ৩ বছরেও পুন:নির্মান হয়নি জনগুরুত্বপুর্ন গোকর্ন-কুন্ডা বেড়িবাধ সড়কের মধ্যবর্তী ব্রীজটি। ফেরি পারাপারের নামে বছরে প্রায় ০৭মাস ধরে চলে জনভোগান্তি।

সুজিত কুমার চক্রবর্তী ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৩ বছরেও পুন:নির্মান হয়নি জনগুরুত্বপুর্ন গোকর্ন-কুন্ডা বেড়িবাধ সড়কের মধ্যবর্তী ব্রীজটি। ফেরি পারাপারের নামে বছরে প্রায় ০৭মাস ধরে চলে জনভোগান্তি।
নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ন, হরিপুর, পুর্বভাগ, ভলাকুট,কুন্ডা প্রভৃতি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক জনসাধারনের ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা শহর ও পাশ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলায় যোগাযোগের অন্যতম প্রধান ও সংক্ষিপ্ত রাস্থা এই গোকর্ন-কুন্ডা বেড়িবাধ সড়ক । ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্থ হয়ে পড়ে এই সড়কের গোকর্ন গুইছলাঘাট সংলগ্ন এই ব্রীজটি। এরপর থেকেই এই ভাঙ্গা ব্রীজকে কেন্দ্র করে যাত্রী, অটোরিক্সা ইত্যাদি পারাপারের অজুহাতে টাকা আদায়ের মাধ্যমে যাত্রী হয়রানিতে সক্রিয় হয়ে উঠে স্থানীয় ১টি সিন্ডিকেট ।বর্ষার পানি আসার সাথে সাথে বাংলা জৈষ্ট মাস হতে শুরু করে পানি শুকানোর পুর্ব পযন্ত কার্তিক- অগ্রহায়ন মাস পযন্ত চলে এই কাযক্রম ।মানুষ,বাই সাইকেল, মোটর মোটরসাইকেল,রিকশা, সিএনজি ইত্যাদি পারাপারে আদায় করা হয় ৫টাকা হতে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পযন্ত । সন্দ্বা বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে যায টাকার পরিমান । রাতে নিদৃষ্ট সময়ের পর পারাপারে ব্যাবস্থা না থাকায ঘটে বিপত্তি । অসুস্থতাসহ জরুরী কোন প্রয়োজনেই এলাকাবাসী যাতায়াত করতে পারেনা জনগুত্বপুর্ন এই সড়ক দিয়ে । জনগুরুত্বপুর্ন হওয়া সত্বেও দীর্ঘ ৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও অজ্ঞাত কারনে ব্রীজটি পুন:নির্মানে কোন কাযকর উদ্যোগ নেই কতৃপক্ষের ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোকর্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন এ প্রতিবেদককে জানান,…. ইজারা হয়না…১ম বছর এমনি চলাচল করেছে…..ব্রীজটা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ১ম বছর আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১জনকে এমনি দায়িত্ব দিয়েছিলাম।পরের বছর ইউএনও মহোদয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়ে আমরা ১জনকে দায়িত্ব দেই । তিনি জনগন,অটোকিরকশা,সিএনজি,মোটরসাইকেল প্রভৃতির ভাড়া নির্ধারন করে দিয়ে বোর্ড আকারে টাঙ্গিয়ে দিয়ে পারাপারের জন্য স্বাক্ষরিত নির্দেশনা দেন ।
সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে উপস্থিত স্থানীয় জনগনের পক্ষে ব্রীজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ভজন চন্দ্র দেব ব্রীজটি পুন: নির্মানের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেন ।