নওগাঁয় বেতনভাতার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন

ঈদুল আযহার আগে পাঁচ মাসের বেতন-বোনাস পরিশোধসহ চার দফা দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা পরিচালনা ও সুসংহত করণ প্রকল্পের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

নওগাঁয় বেতনভাতার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন

এ.বি.এস রতন স্টাফ রিপোর্টার : ঈদুল আযহার আগে পাঁচ মাসের বেতন-বোনাস পরিশোধসহ চার দফা দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা পরিচালনা ও সুসংহত করণ প্রকল্পের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

আজ রবিবার (২৫ মে) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চার দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে জানানো হয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন এই প্রকল্পটি ২০২০ সালে আলাদা রূপে যাত্রা শুরু করে। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত থাকলেও দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প এখনো অনুমোদন পায়নি। এতে ৩ হাজার ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ১হাজার ১০ জন অফিস সহায়ক ২০২৫ সালের শুরু থেকেই কোনো বেতনভাতা পাচ্ছেন না।

আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায় দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে, পাঁচ মাসের বেতন ও ঈদুল আযহার আগেই বোনাস দিতে হবে, বর্তমান কর্মরতদের নিয়োগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল রাখতে হবে এবং ২০২০ সালে কর্মরতদের বকেয়া এক বছরের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষক- কর্মচারীরা জানান, প্রকল্পের আওতায় দেশের ১ হাজার ১০টি মাদরাসায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা ইসলামী ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়বে। মানবিক বিবেচনায় প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন এবং ঈদের আগেই তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওযার দাবি জানান তারা।

শিক্ষকদের মধ্যে রুহুল আমিন,আব্দুল আজিজ, মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা করোনার সময় সরকারের নির্দেশে মানুষের জানাজা, দাফন থেকে শুরু করে নানা মানবিক সেবায় যুক্ত ছিলাম। অথচ আজ নিজেরাই মানবেতর জীবনযাপন করছি।

আরেক শিক্ষক শামসুল আলম বলেন, “পাঁচ মাস ধরে কোনো বেতন পাচ্ছি না। বোনাস তো দূরের কথা, সংসার চালানোই দায় হয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। ঈদের আগে যদি এই সমস্যা সমাধান না হয়, তাহলে আমাদের জন্য উৎসব নয়, বরং কষ্টের দিন হয়ে দাঁড়াবে কুরবানীর ঈদ।