তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে মারধরের পর উল্টো সন্ত্রাসীদের থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে মারধরের পর উল্টো সন্ত্রাসীদের থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে মারধরের পর উল্টো সন্ত্রাসীদের থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

চাঁপাই প্রেস ডেস্ক:চাঁপাইনবাবগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে মারধরের পর উল্টো সন্ত্রাসীদের থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সোমবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টার সময় মডেল প্রেসক্লাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর হল রুমে ভুক্তভোগীর বড় ভাই মোঃ আব্দুল কাদের (৪৮)  এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

এক লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীর বড় ভাই মোঃ কাদের বলেন আমার ছোট ভাই মোঃ সানাউল্লাহ হকের মাছ মারার ঢোলিমন নামক জিনিস হারিয়ে যায় খোঁজ সন্ধান নিয়ে জানতে পারেন , রনির নিকট রয়েছে। তখন আমার ছোট ভাই রনির নিকট চাইতে গেলে রনি আমার ছোট ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটি ও মার মুখি আচরণ শুরু করে।

কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আমার ছোট ভাই দৌড়ে তার বাড়ীতে চলে যায়। তখন হামলাকারীরা  হাতে ধারালো হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশের লাঠি, ইত্যাদি নিয়ে বেআইনি দলবদ্ধ ভাবে আমার ছোট ভাইএর বাড়ীর গলিতে গিয়ে মারার জন্য   ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

 গত ২৪ তারিখ শুক্রবার নামোরাজারামপুর উপরপাড়া গ্রামে জুম্মা নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় হামলাকারী আলামিন ও  মোস্তাকিমের নেতৃত্বে একদল কিশোর গ্যাং আমার ছোট ভাইকে টেনে হেঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আমার ভাইয়ের ওপর অমানবিক ভাবে লোহার রড, বাঁশের লাঠি,দিয়ে বেধড়ক মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।  আমার ভাইয়ের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমার ভাই  সানাউল্লাহকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমার ভাই বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

আমি পুলিশ প্রশাসনের নিকট দাবি করছি দ্রুত হামলাকারী কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুল কাদের,ছোট ভাই মো: নিয়ামতুল্লাহ, আহত সানাউল্লাহর স্ত্রী মোসা : রাবেয়া বাসোরী, ভাতিজা - মোঃনিহসল উদ্দিন,ফুফাতো ভাই মাহব্বুব এবং ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।