চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে সময় মতো আসেন না চিকিৎসক,রোগ নির্ণয়ে করা হয় অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা—এমন আটটি অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে সময় মতো আসেন না চিকিৎসক,রোগ নির্ণয়ে করা হয় অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা—এমন আটটি অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রবিবার (৪ মে) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা। পরে একই দাবিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক সাকির আহম্মেদ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,বেশিরভাগ চিকিৎসক নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে আসেন না। আবার নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল থেকে চলে যান। হাসপাতালে আসা রোগীদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরীক্ষার জন্য প্রইভেট ক্লিনিকে রোগী পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষার সময় নির্ধারিত না থাকায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগীরা।

এছাড়াও হাসপাতালের ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের নিয়মিত রাউন্ড না দেওয়া,দালালদের উৎপাত,শিশু ওয়ার্ডে দক্ষ নার্স না থাকা,গাইনি ওয়ার্ডে বকশিস গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়,জুলাই অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ সময় পার হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে চিকিৎসাখাতে কোনো সংস্কার হয়নি। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে একজন চিকিৎসক বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ তোলেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আব্দুর রাহিম,সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদ,মুখ্য সংগঠক মোত্তাসিন বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা।

পরে একই দাবিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপি পাওয়ার পর পরিস্থিতির উন্নতিতে ৭ দিনের সময় চেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ইতোমধ্যে পরিস্থিতির উন্নতিতে বেশ কিছু বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।