নাচোলে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান বিজয় দিবস পালিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে অতীত ঐতিহ্য ও বর্তমান প্রেরণার সমন্বয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান বিজয় দিবস।

নাচোলে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান বিজয় দিবস পালিত

আবুল হোসেন নাচোল প্রতিনিধি:চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে অতীত ঐতিহ্য ও বর্তমান প্রেরণার সমন্বয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান বিজয় দিবস।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল ও শক্তিশালী গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।

মিছিলটি নাচোল সরকারি ডিগ্রি কলেজ চত্বর থেকে সূচনা করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে রাজপথ রূপ নেয় জনতার উত্তাল সমুদ্রে। “স্বাধীনতার সম্পূর্ণতা চাই, গণতন্ত্র ফেরত চাই”—এমন সাহসী স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো শহর।মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৪৪-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম।

গণসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন,“জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের সেই বীরত্বগাথা, যেখানে জনতার আকাঙ্ক্ষা রাষ্ট্রের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করেছিল। আজকে আবার সেই চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।

তিনি আরও বলেন,“বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই এখন জাতির একমাত্র করণীয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নাচোল পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরুল হুদা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাচোল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুর কামাল এবং কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জাকারিয়া আল মেহরাম।এছাড়া সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন—নাচোল উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশিক মাহমুদ,সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন,পৌর বিএনপির সভাপতি নূহ আলম,পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমানএবং ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।সমাবেশে বক্তারা জোর দিয়ে বলেন—“দেশের বর্তমান সংকটকালীন সময়ে একমাত্র শান্তিপূর্ণ উত্তরণ সম্ভব নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। অন্যথায় রাজপথেই হবে ফয়সালা।”এই র্মসূচিকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ও আন্দোলনমুখী মনোভাব পরিলক্ষিত হয়।

গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন আন্দোলন যে আরও তীব্রতর হতে যাচ্ছে এ দিনের মিছিল-সমাবেশ তারই বার্তা বহন করে।