১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর রহনপুর এলাকা পাক হানাদার মুক্ত হয়

গোমস্তাপুরে আনন্দমুখর পরিবেশে ১১ ডিসেম্বর রহনপুর মুক্ত দিবস পালিত

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর রহনপুর এলাকা পাক হানাদার মুক্ত হয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে আনন্দমুখর পরিবেশে ১১ ডিসেম্বর রহনপুর মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার আলোচনা সভা, আনন্দ শোভাযাত্রা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ১ মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

বেলা সাড়ে ৯টায় রহনপুর পৌরসভার আয়োজনে রহনপুর আহম্মদী বেগম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শোভাযাত্রার পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য দেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা, রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম সোনার্দী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাবুল আলম নুরীসহ অন্যরা।

পরে আনন্দ শোভাযাত্রাটি ওই স্থান থেকে বের হয়ে রহনপুর পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্কাউট সদস্যসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন।

পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো এবং সেখানে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের নির্দেশে গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী থেকে লেফটেন্যান্ট রফিক ও লেফটেন্যান্ট আওয়ালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এগিয়ে এসে আলিনগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নেন। অপরদিক বোয়ালিয়া এলাকার দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম ও লেফটেন্যান্ট রশিদকে রহনপুরে পাকবাহিনী ক্যাম্পে আক্রমণের নির্দেশ দেন। আক্রমণের আগেই রাতে তারা রহনপুর এবি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গড়ে তোলা ক্যাম্প গুটিয়ে ট্রেনে করে পালিয়ে যায়।

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর রহনপুর এলাকা পাক হানাদার মুক্ত হয়।