চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার অপরাধে তিন ব্যক্তির যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এই রায় দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে তিনজন আসামীর উপস্থিতিতে তিনি এই রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভোলাহাট উপজেলার বালুটুংগী গ্রামের মৃত গামজাদের ছেলে জাক্কার, একই গ্রামের মৃত মিয়ারুদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলী ও মুশরীভুজা গ্রামের আব্দুল কারিমের ছেলে মফিদুল ইসলাম ওরেফে সাহিরুল।
পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. এনামুল হক জানান, ২০২০ সালের ১৭ আগষ্ট ভোলাহাট উপজেলার ঘাইবাড়ী গ্রামের রাঙ্গামাইট্যা বিলে গরু-ছাগলের ঘাস কাটতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন একই গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর স্ত্রী সেমালী খাতুন কান্দুনী (৪৫)।
ধর্ষণের পর তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে মাথাবিহীন রক্তাক্ত মরদেহ উদ্বার করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ১৮ আগষ্ট রাতে ভোলাহাট থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের মেয়ে মোসা. শারাবনী বেগম। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ভোলাহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন আদালত।