জেলা পুলিশের অভিযানে গরু,টাকা,পিকআপ উদ্ধার ও গরু চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল গোমস্তাপুর ও সদর থানা এলাকা হতে চুরি হওয়া ২টি গরু চোরাই কাজে ব্যবহৃত ৩টি পিকআপ ও গরু বিক্রির নগদ টাকা জব্দ এ সময় আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৭ জন সক্রিয় সদসস্য গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল,গোমস্তাপুর ও সদর থানা এলাকা হতে চুরি হওয়া ২টি গরু উদ্ধার, চোরাই কাজে ব্যবহৃত ৩টি পিকআপ ও গরু বিক্রির নগদ টাকা জব্দ করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৭ জন সক্রিয় সদসস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৪টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে-রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার নান্দোপাড়া গ্রামের মৃত কায়েমুদ্দিন মোল্লার ছেলে মো. সাইফুল মোল্লা (৪১)কে দূর্গাপুর থানার কানপাড়া গ্রামস্থ তার ভাড়া বাসা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া, রাজশাহীর কাটাখালী থানার মিরকামারী গ্রামের মৃত আফাল ওরফে আলালের ছেলে মো. আলামিন (২৬), সমসাদিপুর গ্রামের মৃত আলাল ওরফে আফালের ছেলে মো. পারভেজ আলী (২৮), মিরকামারী (পূর্বপাড়া) গ্রামের মৃত কামাল হোসেন ওরফে মোহারমের ছেলে মো. বেলাল হোসেন ওরফে রুবেল (৩১), মিরকামারী গ্রামের মো. মুজাম আলীর ছেলে মো. হাসিবুল (৩২)কে রাজশাহীর শাহমুখদুম থানার সিটি গরু হাটের সামনে হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে তাদের দেয়া তথ্যমে রাজশাহী মহানগরীর (আরএমপি) রাজপাড়া থানার আলীগঞ্জ মহল্লার মৃত জোনাব আলীর ছেলে মো. শাজাহান (৪৫) ও হায়দারের ছেলে মো. মাসুম আলী (৫০)কে আরএমপি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এইসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবুল কালাম সাহিদ।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মো. সাইফুল এর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। এছাড়া আলামিনের বিরুদ্ধে ২টি গরু চুরির ও ২টি মাদকের মামলাসহ ৪টি মামলা আছে।
অন্যদিকে পারভেজের বিরুদ্ধে ২টি গরু চুরির মামলা আছে। রুবেলের বিরুদ্ধে গরু চুরি, মাদকসহ ৬টি মামলা রয়েছে। হাসিবুলের বিরুদ্ধে ১টি মামলা আছে।
আবুল কালাম সাহিদ আরো জানান, কিছুদিন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল, গোমস্তাপুর ও সদর থানা এলাকায় গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৩৫টি গরু চুরি হয়। এসব ঘটনায় ৫টি মামলা হয়। এর মধ্যে নাচোল থানায় ২টি এবং সদর ও গোমস্তাপুর থানায় একটি করে মামলা হয়।
মামলার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসানের নিদের্শনায় জেলা পুলিশের অপরাধ ও অপস বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রোকনুজ্জামান সরকার, গোমস্তাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাকিবুল ইসলাম, গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহাবুবুর রহমান, নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিন্টু রহমানসহ উভয় থানার অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি অপারেশন টিম গঠন করা হয়।
টিমটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানা এলাকাসহ আরএমপির রাজপাড়া ও শাহমুখদুম থানা এলাকায় অভিযান শুরু করে। অভিযানে তিন থানার দায়েরকৃত মামলার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত আন্তঃজেলা চোর চক্রের কয়েকজন মূলহোতার অন্যতম সাইফুলসহ ৭ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের হেফাজত হতে চোরাই কাজে ব্যবহৃত ৩টি পিকআপ গাড়ী এবং ৫টি গরু, এবং চোরাই গরু বিক্রয়ের নগদ ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি গরু ও অন্যচোরদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, এই গরু চুরির সঙ্গে স্থানীয় চোরেরাও জড়িত আছে। তাদেরকেও শনাক্ত করার কার্যক্রম চলছে।