নিয়ামতপুরে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন কৃষকেরা

গত কয়েকদিন থেকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় জেঁকে শীত পড়েছে। ক্রমশ নিম্নগামী তাপমাত্রা আর হিমেল হাওয়ায় রাতে বাড়ছে এর দাপট

নিয়ামতপুরে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন কৃষকেরা

তৈয়বুর বহমান নিয়ামতপুর নওগাঁ প্রতিনিধিঃগত কয়েকদিন থেকে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় জেঁকে শীত পড়েছে। ক্রমশ নিম্নগামী তাপমাত্রা আর হিমেল হাওয়ায় রাতে বাড়ছে এর দাপট। ঘন কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।

কৃষিপ্রধান অঞ্চল হওয়ায় শীত উপেক্ষা করে উপজেলার কৃষকেরা বোরো আবাদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। কিছুদিন পরেই বোরো আবাদ পুরোদমে শুরু হবে উপজেলা জুড়ে। তার আগে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার কাজে নেমে পড়েছে কৃষকরা। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন তাঁরা। 

কৃষকেরা বলছেন, ঠান্ডা ও কুয়াশা জনিত কারণে বোরো বীজতলা হলদে ও লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।তাই পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখলে বীজতলার কোনো ক্ষতি হয় না। 

উপজেলার ভাবিচা গ্রামের কৃষক বিমল প্রামানিক জানান, এবার তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করবেন। তার জন্য বীজতলা তৈরি করছেন। শীত ও কুয়াশা থেকে বীজতলাকে রক্ষা করার জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন।  

একই গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল সরকার জানান, তিনি বীজ ফেলার আট দিন পরে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। আর ২২ দিন পরে পলিথিন তুলে ফেলবেন। এতে করে বীজতলায় কোন রোগবালাইয়ের আক্রমণ হবে না। রোপণের জন্য ভালো বীজ পাওয়া যাবে। পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখায় কোন কীটনাশকও দিতে হয় না। তাই বাড়তি কোনো খরচও হয়না। 

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলায় 'কোল্ড ইনজুরি' দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে বীজগুলো বড় হতে পারে না, সেইসঙ্গে হলদে ও লাল হয়ে মরে যাওয়ার পাশাপাশি পচে যায়। পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখলে বীজতলা গরম থাকে। ধানের চারাগুলো নষ্ট হয় না। কৃষকেরা উপকৃত হন।

 বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।