দুমকিতে ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মালামাল লুটের অভিযোগ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি শাহীন আলম ফোরকানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে

মোঃ সজিব সরদার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি শাহীন আলম ফোরকানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। মুরাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক এর ছত্র ছায়ায় মুরাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও দোকানঘর মালিক আল আমিনের বিরুদ্ধে। ২১শে এপ্রিল সোমবার সকালে উপজেলার মুরাদিয়ার বোর্ড অফিস বাজার এলাকায় উক্ত ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ভুক্তভোগী শাহীন আলম দুমকি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পরে মুরাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল হাওলাদারসহ একটি কুচক্রী মহল চাঁদা দাবি করেন এবং তার দোকানে জোড় পূর্বক ঢুকে নগদ এক লক্ষ টাকা ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গতবছরের মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর)২০২৪ তারিখে পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী সুরমা বেগম যা তদান্তাধীন রয়েছে। গত সোমবার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুট করেন তার দোকান ঘর মালিক আল আমিন। এ ঘটনায় মুরাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলামের যোগসাজশের কথা উল্লেখ করেন তিনি । লিখিত অভিযোগে তিনি মুরাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারিকুল ইসলামের ছত্রছায়ায় এমন কর্মকাণ্ড হচ্ছে বলেও জানান। এছাড়াও বিএনপির নাম ব্যবহার করে এ চক্রটি এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে বলে জানান।তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, সোমবার মালামাল লুট ও ভাংচুরের সময় ফোরকানের স্ত্রী ও বোন এসে বাঁধা দেয়ায় তাদের হুমকি ধামকি দেয় আল-আমিন গং।পরে ৯৯৯- এ কল করলে দুমকি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ভূক্তভোগী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তার অভিযোগ না নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আল আমিন বলেন, আমি দোকান খুলে শুধু একটি টেবিল ফ্যান সরিয়ে রেখেছি আর কিছু নেইনি।
অভিযুক্ত মোঃ সাইদুল হাওলাদার বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। মুরাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারিকুল ইসলাম দু'পক্ষের দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ না নেয়ার কথা সঠিক নয়।