ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি,দুমকীতে কৃষকলীগ নেতার গুদাম সিলগালা
বস্তা পরিবর্তন করে ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রিকালে পটুয়াখালীর দুমকীতে ১২ বস্তা সরকারি চাল আটক করেছে স্থানীয় জনতা।
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: বস্তা পরিবর্তন করে ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রিকালে পটুয়াখালীর দুমকীতে ১২ বস্তা সরকারি চাল আটক করেছে স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার লেবুখালী এলাকার ইউনিভার্সিটি স্কয়ারে পরিবর্তিত ওই বস্তা ভর্তি চাল আটক করা হয়। এ সময় ওএমএস এর ডিলার দুমকী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কালাম ডাক্তারের ছেলে মো: জহিরুল ইসলাম চাল রেখে পালিয়ে যান।
সিসি টিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের হাজী বাড়ীর দরজা থেকে চালের বস্তা গুলো অটোতে তুলে দিলে চাল নিয়ে অটোযোগে ড্রাইভার দ্রুত লেবুখালীর পাগলায় কালোবাজারে বিক্রির জন্য মালেক সিকদারের দোকানের সামনে আনে। এসময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে চালের বস্তাগুলো আটক করে। পরে খবর পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন মাহমুদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
স্থানীয় দোকান মালিক মো: মালেক সিকদারের ছেলে সুজন জানান, কালাম ডাক্তারের ছেলে স্থানীয় ফার্মেসি ব্যবসায়ী জহির তাকে একটা গাড়ি নিয়ে চালগুলো নিয়ে দোকানে বিক্রি করতে বলেছে।
অটো গাড়ির ড্রাইভার বাদল জানান, তাকে হাজী বাড়ীর দরজায় চাল আনতে মালেক সিকদারের ছেলে এমদাদুল নিয়ে গেছেন। তবে জব্দকৃত চালগুলো কীসের চাল তা তিনি জানেন না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ বলেন, স্থানীয় জনতার অভিযোগের ভিত্তিতে ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে চালগুলো জব্দ করে গুদাম দু'টি সিল গালা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকী থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। যার নম্বর -৩ এবং লাইসেন্স বাতিলসহ ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।