চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিদেশি অস্ত্র,ম্যাগাজিন ও গুলি আটক করেছে ৫৩ বিজিবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মনোহরপুর সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ধাওয়ার মুখে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে পালিয়েছে চোরাকারবারিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিদেশি অস্ত্র,ম্যাগাজিন ও গুলি আটক করেছে ৫৩ বিজিবি
ছবি-চাঁপাই প্রেস

চাঁপাই প্রেস ডেস্ক:চাঁপাইনবাবগঞ্জের মনোহরপুর সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ধাওয়ার মুখে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে পালিয়েছে চোরাকারবারিরা। অভিযানে বিদেশি পিস্তল ৪টি,ম্যাগাজিন ৯টি এবং ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীকে গত ১২ ডিসেম্বর গুলিবর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত ও দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবির বিশেষ টহল, চেকপোস্ট স্থাপন এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ করানোর পরিকল্পনা করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় মনোহরপুর বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার ভেতরে গোপালপুর এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে দূর থেকে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহীকে থামার সংকেত দেওয়া হলে তারা দ্রুত দিক পরিবর্তন করে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাদের মোটরসাইকেল থেকে একটি ব্যাগ পড়ে যেতে দেখে টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি চালায়।

পরবর্তীতে ব্যাগটি তল্লাশি করে কালো পলিথিনে মোড়ানো যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তুতকৃত ৪টি বিদেশি পিস্তল, ৯টি ম্যাগাজিন এবং ২৪ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।

বিজিবি অধিনায়ক আরও বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা দেশের অভ্যন্তরে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রবেশ করানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ধরনের অপতৎপরতা প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে।

তিনি জানান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান রোধ এবং দুষ্কৃতিকারীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বিজিবির সকল সদস্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।