সোনামসজিদের তাহখানায় ঔরশ শরীফ অনুষ্ঠিত
পবিত্র ঔরশ উপলক্ষে তাহখানা চত্বরে কোরআনখানী ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যেন কোন অঘটন না ঘটে এ জন্য পুলিশসহ গোয়েন্দা বিভাগকে সজাগ রাখা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদের তাহখানা চত্বরে হজরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ (র.) এর পবিত্র ঔরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও বাংলা সনের ভাদ্র মাসের শেষ শুক্রবার তাঁর মাজার প্রাঙ্গনে ঔরশটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। সকালে পবিত্র ঔরশ উপলক্ষে তাহখানা চত্বরে কোরআনখানী ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পরে তাহখানা মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লিদের শাহ নেয়ামতুল্লাহ (র.) এর বিভিন্ন পোশাক ও আসবাবপত্র দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। অনেক মুসুল্লী বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঔরশে অংশগ্রহণের অংশ হিসেবে এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে রাত কাটান। এছাড়াও ঔরশ শরীফ উপলক্ষ্যে সোনামসজিদের রাস্তার দু’ধারে বিভিন্ন পণ্যের মেলা বসে।
তাহখানায় জুম্মার নামাজ আদায় করেন, তাহখানা মাজার কমিটির সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ আলী আকবর আজীজী, সাধারণ সম্পাদক ও শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত, শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদসহ ধর্মপ্রাণ হাজারো মুসল্লী।
ইউএনও বলেন, এটি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এখানে ধর্মীয় আলোচনার পাশাপাশি আসবাবপত্র খেলনা ও বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে থাকে। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যেন কোন অঘটন না ঘটে এ জন্য পুলিশসহ গোয়েন্দা বিভাগকে সজাগ রাখা হয়।
উল্লেখ্য, হজরত শাহ্ নেয়ামতউল্লাহ (র.) দীর্ঘ প্রায় ৩৩ বছর এই অঞ্চলে সুনামের সাথে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। পরে তিনি ১০৭৫ হিজরী (১৬৬৪ খ্রিষ্টাব্দে) মতান্তরে ১০৮০ হিজরীতে (১৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দে) পরলোকগমন কবলে তাঁকে তাহখানা মসজিদের পাশেই সমাহিত করা হয়। এছাড়াও তাঁর যারা খাদেম ও অনুসারী ছিলেন, তাদেরও তাঁর মাজারের আশেপাশে সমহিত করা হয়।