পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের জিমনেসিয়াম ভবন উদ্বোধন

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ

পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের জিমনেসিয়াম ভবন উদ্বোধন

মোঃ সজিব সরদার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে আগমন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ফুল দিয়ে চেয়ারম্যান ও তাঁর সহধর্মিণী প্রফেসর ড. বাবুনা ফায়েজকে আন্তরিকভাবে বরণ করে নেন। এসময় ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) ড. মহিবুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।

‎পরবর্তীতে চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প-২’ এর কাজ পরিদর্শন করেন এবং তার প্রশংসা করেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত অত্যাধুনিক জিমনেসিয়াম ভবনের উদ্বোধন করেন। এতে শিক্ষার্থীদের টেবিল টেনিস, লন টেনিস, দাবাসহ শরীরচর্চার সবধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে বলে জানানো হয়।

‎উদ্বোধন শেষে টিএসসির কনফারেন্স কক্ষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফায়েজ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

‎সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল লতিফ।

‎সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা ইতোমধ্যে দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এগিয়ে আছি। তবে গবেষণা তহবিলের সীমাবদ্ধতা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলো উন্নয়ন করা গেলে তা শুধু সৌন্দর্য নয়, বরং পরিবেশ সংরক্ষণ, মৎস্য গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সাঁতার অনুশীলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

‎প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণশক্তি তার গবেষণায় নিহিত। শিক্ষকরা যদি গবেষণায় মনোযোগী হন, তাহলে দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত। সরকারকেও শিক্ষকদের গবেষণায় যথাযথ প্রণোদনা ও সহযোগিতা দিতে হবে।

‎তিনি আরও বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা যদি ছাত্রদের প্রেরণার উৎস হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে এই তরুণরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে, তবেই আমরা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে পারব।

‎অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৫টায় ইউজিসি চেয়ারম্যান কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।