চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও মাদক মামলায় পৃথক আদালতে দুজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড
অস্ত্র ও মাদক মামলায় পৃথক আদালতে দুজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও মাদক মামলায় পৃথক আদালতে দুজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে তাদের এই দণ্ড প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. নাজমুল আজম জানান, ২০২১ সালের ১২ মার্চ দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলীমনগর ঘাটে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ দেলোয়ার হোসেন পিয়াস ও হামিম নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে ৫৩ বিজিবি। ঘটনার পরদিন বিজিবির সুবেদার মো. আবুল কাশেম বাদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
তিনি আরো জানা, একই বছরের ১৮ মে তাদের দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিত কুমার পান্ডে। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী দেলোয়ারকে যাবজ্জীবন, একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় হামিম নামের অপরজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। দণ্ডিত পিয়াস শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের শরৎনগর-মিয়াপাড়ার মিজানুর রহমান মিয়ার ছেলে।
নাজমুল আজম আরো জানান, এছাড়াও ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট রাতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার জামতলা ব্রিজ এলাকা থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ওয়ানশুটার গান, দুটি ম্যাগজিন ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ নাঈম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫। ঘটনার পরদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মো. আবু তালেব বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার এসআই নুরুল ইসলাম ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহা. আদীব আলী অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় ১০ বছর ও ১৯ (এফ) ধারায় আরো ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়, একটি সাজাভোগের পর অপর সাজা ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামি অনুপস্থিতিত ছিলেন। দণ্ডিত নাঈম আলী শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের গুপ্তমানিক এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে শিবগঞ্জের কয়লাবাড়ী এলাকায় ৩টি বিদেশী পিস্তল ও একটি ওয়ানশুটার গান, ৩টি ম্যাগজিন, ১৬ রাউন্ড গুলিসহ মজিবুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার সহযোগী শাহাজান ওরফে আছাড়ি পালিয়ে যায়। ঘটনার দিনই র্যাবের এসআই নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের এসআই মো. তোফাজ্জল হোসেন ওই বছরের ৬ নভেম্বর তাদের দুজনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে ১৯ (এ) ধারায় মজিবুর রহমানকে যাবজ্জীবন ও ১৯ (এফ) ধারায় আরো ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলা থেকে শাহাজান ওরফে আছাড়ি নামের অপর আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। দ-িত মজিবুর রহমান শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকার ফজলুর রহমনের ছেলে।