শিবগঞ্জে আবারও একই জায়গায় ৩টি রাসেল’স ভাইপার

গত মঙ্গলবার ওই একই স্থানে ৯টি রাসেল’স ভাইপারের সন্ধান মেলে। পরে কৃষকরা সাপগুলোকে মেরে মাটিতে পুঁতে দেন

শিবগঞ্জে আবারও একই জায়গায় ৩টি রাসেল’স ভাইপার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার একই স্থান থেকে অর্থাৎ পাঁকা ইউনিয়নের গমেরচর এলাকার একটি ধানের ক্ষেতে আবারো তিনটি রাসেল’স ভাইপারের দেখা মিলেছে। পরে সাপগুলোকে মেরে পুঁতে ফেলেন কৃষকরা। ঘটনাটি বুধবার সকাল ১০টার দিকে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ওই একই স্থানে ৯টি রাসেল’স ভাইপারের সন্ধান মেলে। পরে কৃষকরা সাপগুলোকে মেরে মাটিতে পুঁতে দেন।

এদিকে এ ঘটনায় জমিতে আরো সাপ আছে কিনা সেকারণে খোঁজ চালান কৃষকরা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে গমেরচর এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ধানের জমি থেকে সাপগুলো পাওয়া যায়। কৃষক ইব্রাহিম হোসেন জানান, তিন দিন আগে তার জমির ধান কেটে আঁটি বেঁধে জমিতে ফেলে রাখেন শ্রমিকরা। আজ বুধবার সকালে সেই শ্রমিকরা কেটে রাখা ধানের আঁটিগুলো আনতে গিয়ে সাপগুলো দেখতে পান। পরে শ্রমিকরা একত্র হয়ে সাপগুলো মেরে ওখানেই পুঁতে ফেলেন।

শ্রমিক সৈবুর রহমান জানান, ধানের ওই জমিতেই মঙ্গলবার ৯টি সাপ পাওয়া যায়। আজও বুধবার সকালে আবারো তিনটি সাপ পাওয়া গেছে। এতে করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং ধান কাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক ইসমাইল জানান, পরপর দুই দিন ধানের জমিতে সাপ দেখতে পাওয়ার পর শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের চিৎকারে আশপাশের ধানের জমি থেকে শ্রমিকরা এসে তল্লাশি চালাচ্ছেন। ইব্রাহিমের জমির ১২ কাঠা ধান কাটা এখন বন্ধ রয়েছে। আতঙ্কে বন্ধ হয়ে গেছে পাশের অন্যান্য জমির ধান কাটাও।

এ ব্যাপারে পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জানান, গমেরচর এলাকাটি পদ্মা নদীর ধারে হওয়ায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে। ঘটনাস্থলটি দুর্গমচর অঞ্চল হওয়ায় আজকের সাপ উদ্ধারের ঘটনাটি জানা সম্ভব হয়নি।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান মঙ্গলবার এবং বুধবারের সাপ উদ্ধারের ঘটনাটি তার জানা ছিল না বলে জানান। তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সাপগুলো কোন প্রজাতির তা চিহ্নিত করার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষকদের ধান কাটতেও সহায়তা দেয়া হবে। তিনি উপজেলা কৃষি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বিষয়টি খোঁজ নেয়ার জন্য তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান।