চরাঞ্চলের নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ
শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছে প্রশাসন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতুলি ইউনিয়নের ১ হাজার ১১৪ পরিবার এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকাসহ অন্যান্য ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন থেকে এই দুই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে চালগুলো বিতরণ করা হচ্ছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান গতকাল শনিবার দুপুরে জানান, জেলা প্রশাসন থেকে ২০ টন চাল পাওয়া গেছে। সেই চাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে শুক্রবার থেকে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিড়া, মুড়িসহ শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর, মনাকষা, ছত্রাজিতপুর, ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ বন্যার শিকার হয়েছে। তবে পাঁকা সবচেয়ে বেশি। সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৮০০ পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।
গতকাল শনিবার শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতে পাঁকা ইউনিয়নের চর এলাকায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নদী ভাঙন ও বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নারায়ণপুর ও আলাতুলি ইউনিয়ন। এই দুটি ইউনিয়নের ১ হাজার ১১৪টি পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ টন করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও শাহজাহনপুর, দেবীনগর, চরবাগডাঙ্গা, সুন্দরপুর, বারঘরিয়া ইউনিয়নের আংশিক বন্যাকবলিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার মীর আল মনসুর শোয়াইব জানান, উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত ৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।