চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইঁদুর নিধন অভিযান শুরু
ইঁদুরের দিন হবে শেষ গড়বো সোনার বাংলাদেশ
“ইঁদুরের দিন হবে শেষ, গড়বো সোনার বাংলাদেশ’’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইঁদুর নিধন অভিযান-২০২৩ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে এক র্যালি বের করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বেলুন উড়িয়ে এবং ইঁদুর মেরে ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধন করেন।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মোছা. রহিমা খাতুন, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো. বুলবুল আহম্মেদ, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কে এম কাওছার হোসেন।
আলোচনা সভায় সভাপতি এ কে এম গালিভ খাঁন বলেন, “ইঁদুরের দিন হবে শেষ গড়বো সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য সময় উপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন। সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকলকে নিষ্ঠার সাথে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইঁদুর নিধনের পাশাপাশি খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারের দেওয়া পদক্ষেপগুলোকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক ।
ইঁদুর বহুমাত্রিক সমস্যা সৃষ্টি করে। ফসল নষ্ট করে, খাবার নষ্ট করে, ইলেকট্রিক তার পর্যন্ত কেটে দেয়, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফুটো করে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। একথায় ইঁদুর মাঠঘাট, ঘারবাড়ি সবখানেই ক্ষতি করে। ইঁদুর মানুষের কল্যাণ করে না, ক্ষতি করে। তাই ইঁদুর নিধন জরুরি।
ইঁদুর সম্পর্কে জানানো হয়, ইঁদুরের সামনের দাঁত জন্ম থেকেই বাড়তে থাকে ; ইঁদুর সাধারণত ৫ থেকে ১০ ভাগ ফসলের ক্ষতি করে; ইঁদুর যা খায় তার চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুন বেশি ক্ষতি করে; একটি ইঁদুর বছরে ৫০ কেজি গোলাজাত শস্য নষ্ট করে; প্রতি জোড়া ইঁদুর হতে বছরে ৩ হাজারটি ইঁদুর জন্ম নিতে পারে; ইঁদুর বছরে ৬ থেকে ৮ বার এবং প্রতিবারে ৩ থেকে ১৩টি বাচ্চা দিতে পারে; বাচ্চা প্রসবের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবারো গর্ভধারণ করতে পারে; তিন মাসের মধ্যেই ইঁদুর বড় হয়ে আবার বাচ্চা দিতে পারে; এরা গর্তে ২০ কেজিরও বেশি খাদ্য জমা করতে পারে; ইঁদুর দৈনিক তার শরীরের ওজনের এক দশমাংশ খাবার খায়; বাংলাদেশে ১১ প্রজাতির ইঁদুর পাওয়া যায়।