বাঘায় বেধড়ক মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রাজশাহীর বাঘায় বেধড়ক মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে ন্যায় বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী

বাঘা রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় বেধড়ক মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে ন্যায় বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম ও তার পরিবার। সে উপজেলার মিলিক বাঘা গ্রামের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার ( ১৭ জুলাই ) উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের ভানুকর এলাকায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমার পিতা নুরুল আমিন গত ১০/০৭/২৫ তারিখ অসুস্থতা জনিত কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আমি আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে একত্রিত হয়ে আমার পিতার লাশ দাফন কার্যের জন্য পৈতৃক বাসভবন সংলগ্ন একটি আম বাগানে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমতাবস্থায় আমার মৃত ভাই আরিফুল ইসলাম এর তালাকপ্রাপ্ত " স্ত্রী "নাসিমা আক্তার ( ৪০) পিতা মোঃ আমিরুল ইসলাম গ্রাম সুলতানপুর বাঘা রাজশাহী, আমার বোন জামাই মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বাবলু (৫০) পিতা মৃত আহমদ হাজী ওরফে খেড়ু হাজী গ্রাম সিকদার পাড়া বাঘা রাজশাহী'র নির্দেশনায় ভাগ্নে জামাই নাজমুস সাকিব ৩৫ পিতা মৃত কাশেম গ্রাম মুঙলি চারঘাট রাজশাহী, স্থানীয় আওয়ামীলীগের সংঘবদ্ধ চক্র মিজানুর রহমান মিলন( ৪৬) পিতা মৃত খলিল, বাঘা রাজশাহী, হাফিজুর ইসলাম পিতা: পাজ্ঞার সরকার,স্বাধীন (৩৫) পিতা মৃত: শহীদুল,লালন উদ্দিন (৪০ ) পিতা সদর শাহ, রিমন হোসেন(২০) পিতা: মহিবুর ইসলাম, নাঈম হোসেন (২০) পিতা: দুলাল হোসেন, সারোয়ার আহমেদ (২০) পিতা মৃত: মিঠু, মাহাবুর( ৪৭) পিতা: ইরু, সাঈদ (২০) পিতা: লালন এরা সকলে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত ক্যাডার । বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির আত্মীয়স্বজন। এদের সহযোগিতায় আমাকে ও আমার মামা মোঃ জাকির হোসেন (৬০) মামাতো ভাই মাহমুদ( ২২) মাহফুজ (২১), আমার আরেক মামা মোঃ সাগর (৪০) মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন (৪০),এনামুল হক, আমার ছেলে সাইফ আহমেদ জুবায়ের (১৩ ) ও আমার শ্বশুর মাজিরুল ইসলাম (৬৫ ) মারধর করে। এসময় আমরা বাড়ির পার্শ্ববর্তী মসজিদের সামনের রাস্তায় অবস্থান করলে সেখানেও তারা হামলা করে মারধর করে। পরে তারা আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্ত্রী হাসিনা আক্তার (৩৫) আমার মা আরশিয়া বেগম (৬৫) ও শাশুড়ি আম্মা নাজমা আক্তার কে মেরে আসবাবপত্র সহ দরজা জানালা ব্যাপকভাবে ভাংচুর করে।
এ সময় আমি দৌড়ে পালিয়ে নিকটবর্তী থানায় গিয়ে অবহিত করি। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় আমার পিতার লাশ দাফন করতে সক্ষম হই। উক্ত ঘটনার দিন থেকে আমার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী ও বোন জামাই জোর পূর্বক আমার জমিজমা লিখে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আমাকে একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি আমি যদি জমি লিখে না দেয় তবে তারা আমাকে ও আমার স্ত্রী সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করছেন। এই ঘটনায় আমি একাধিকবার থানায় অবগত করলেও থানা অজ্ঞাত কারণে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এখানে পরিস্থিতিতে আমি ও আমার পরিবার বৃন্দ চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি সেই সাথে ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলন উল্লেখিত ঘটনায় অভিযুক্তদের বক্তব্যে তারা বলেন , আমরা এতিম সন্তানদের জমি না দেয়ার বিষয়ে জানতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়ে আমাদের কে মারধর করে। আমরা কোন মারধর করি নাই।
এ বিষয়ে বাঘা থানার তদন্ত ওসি সুপ্রভাত মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় আশরাফুল ইসলামের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।