দুমকীতে শহীদ কন্যাকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা-আলোচিত প্রধান আসামী গ্রেপ্তার
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার আলোচিত কলেজছাত্রী শহীদ কন্যা লামিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার প্রধান পলাতক আসামি ইমরান মুন্সি (১৭) অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে ধরা পড়েছে।

মোঃ সজিব সরদার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার আলোচিত কলেজছাত্রী শহীদ কন্যা লামিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার প্রধান পলাতক আসামি ইমরান মুন্সি (১৭) অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে ধরা পড়েছে।
রোববার (১১ মে) বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল জেলার এয়ারপোর্ট থানা এলাকার কাশিপুর ইছাকাঠি মহল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লামিয়ার বাবা জসিম উদ্দিন 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে' গত বছরের ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ৩০ জুলাই নিহত হন। এরপর তার মা ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। লামিয়া থাকতেন নানাবাড়ি, দুমকী উপজেলার আলগী গ্রামে। ১৮ মার্চ ঘটনার দিন বাবার কবর জিয়ারত শেষে দাদাবাড়ি নলদোয়ানি গ্রাম থেকে ফেরার পথে লামিয়াকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
২০ মার্চ দুপুরে লামিয়া নিজেই দুমকী থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সহপাঠী সিফাত মুন্সি ও মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র শাকিব মুন্সিকে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা তাকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে। পরে পুলিশ ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার বিস্তারিত জানায় এবং ইমরান মুন্সির নাম প্রকাশ করে।
ধর্ষণের ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন লামিয়া। একপর্যায়ে ২৬ এপ্রিল রাত ৯টায় রাজধানীর শেখেরটেক ৬ নম্বার রোডের বি/৭০ নম্বর মায়ের ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। নিজ গ্রামে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয় তার শহীদ বাবার কবরের পাশে।
এ ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভও ছড়িয়ে পড়ে।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “এই ঘটনায় জড়িত কেউই রেহাই পাবে না। তদন্তকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।