আঁচিলের কারণ ও প্রতিকার জানুন
আঁচিল (Wart) হল চামড়ার উপর ছোট, শক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির মতো একটি চর্মরোগ, যা দেখতে খসখসে, কখনও কখনও ফুলে ওঠা গোটা বা ছোট দানার মতো হয়। এটি সাধারণত ত্বকের উপরিভাগে হয়

আঁচিল (Wart) হল চামড়ার উপর ছোট, শক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির মতো একটি চর্মরোগ, যা দেখতে খসখসে, কখনও কখনও ফুলে ওঠা গোটা বা ছোট দানার মতো হয়। এটি সাধারণত ত্বকের উপরিভাগে হয়, বিশেষ করে হাতে, পায়ে, মুখে, আঙুলে বা হাঁটুর আশপাশে। আঁচিল দেখতে নিরীহ হলেও কখনও তা অসুস্থতা, অস্বস্তি বা সৌন্দর্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আঁচিল কেন হয়? আঁচিল হওয়ার প্রধান কারণ হলো হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) নামক একটি ভাইরাস। এই ভাইরাস শরীরের চামড়ার মধ্যে ঢুকে গেলে ত্বকের কোষ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে, ফলে সেখানে আঁচিল তৈরি হয়।
এই ভাইরাসটি সংক্রামক, অর্থাৎ এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, বিশেষতঃকাটা ঘা বা ফাটা চামড়ার মাধ্যমে
ব্যবহৃত তোয়ালে, জুতো বা শেভিং যন্ত্র ভাগ করে ব্যবহার করলে
জিম বা সুইমিং পুলের মত ভেজা জায়গায় খালি পায়ে হাঁটলে
এছাড়া দুর্বল ইমিউন সিস্টেম, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবেও আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
আঁচিলের ধরণ: কমন ওয়ার্ট:সাধারণত হাতে-পায়ে হয়
প্ল্যানার ওয়ার্ট: পায়ের তলায় হয়,চাপ দিলে ব্যথা করে
ফ্ল্যাট ওয়ার্ট: মুখে বা হাতে হয়,সমান ত্বকের মতো দেখতে জেনিটাল ওয়ার্ট: গোপনাঙ্গে হয় (যৌন সংক্রমণজনিত)
আঁচিল হলে কী করবেন?
১. নিজে কাটাছেঁড়া করবেন না: এতে রক্তপাত বা সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
২. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: ডার্মাটোলজিস্টের কাছ থেকে আঁচিল পরীক্ষা করিয়ে প্রয়োজন মতো চিকিৎসা করান (ক্রাইোথেরাপি, লেজার, অ্যাসিড থেরাপি ইত্যাদি)।
৩. ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ: কিছু স্যালিসিলিক অ্যাসিড যুক্ত ওষুধ ও লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শে।
৪. পরিষ্কার থাকুন: নিজের ত্বক পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন এবং ব্যক্তিগত জিনিস অন্যের সঙ্গে ভাগ করে ব্যবহার করবেন না।
৫. ইমিউনিটি বাড়ান: আঁচিল প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) শক্ত রাখা খুব জরুরি—ফলমূল, শাকসবজি,পর্যাপ্ত ঘুম ও জল পান করুন।
আঁচিল সাধারণত ক্ষতিকর নয়, তবে অবহেলা করলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এর চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা, পরিচ্ছন্ন থাকা এবং অন্যকে সংক্রমণ থেকে বাঁচানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র_tv9bangla