দুমকিতে গৃহবধুর আত্মহত্যা
চাচা-শ্বশুর ও ভায়রাকে দেওয়া ধারের টাকা তুলে স্বামীকে দিতে না পারায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আফসানা ইসরাত বিথী (২৩) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন

মোঃ সজিব সরদার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ চাচা-শ্বশুর ও ভায়রাকে দেওয়া ধারের টাকা তুলে স্বামীকে দিতে না পারায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আফসানা ইসরাত বিথী (২৩) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার(৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিথী ওই এলাকার মৃত মাস্টার আমির হাওলাদারের কন্যা। তার স্বামী সৈয়দ নাজমুল জাকির নাহিদ সৌদি আরব প্রবাসী। তাদের আড়াই বছরের একটি ছেলে, আফনান, রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পরিবারের সদস্যরা বিথীকে বাবার বাড়ির নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং উদ্ধার করেন।
নাহিদ বলেন, তিনি বিথীর চাচা নুরুল ইসলাম হাওলাদারকে তিন লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দুই লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন, বাকি এক লাখ টাকার জন্য বিথীকে বলতে হয়েছিল। এছাড়া তার একাউন্ট থেকে বিথীকে ১২ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছিল, যেখান থেকে ভায়রা মোহন আকন বিল্ডিংয়ের কাজে দেড় লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। শ্বাশুড়ি ইয়াসমিন বেগমও ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সম্প্রতি ব্যবসা প্রসারিত করতে ধারের টাকাগুলো ফেরত আনতে বিথীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তুলতে পারেননি। নাহিদ দাবি করেন, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো কলহ ছিল না তার।
নিহতের মা ইয়াসমিন বেগম সাংবাদিকদের জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি চার লাখ টাকা পান। সেই টাকা এক দেবরকে ব্যবসার জন্য দেন এবং প্রতি মাসে কিছু টাকা পান। সম্প্রতি জামাই নাহিদ ওই টাকা দাবি করলে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বেড়ে যায়। এর আগে কলহের কারণে দু’বার থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল।
দুমকি থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন , “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”