দুমকীতে আ'লীগের ষড়যন্ত্রের শিকার হানিফ খান  বিএনপিতে পুনর্বহালের দাবি

দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে কাটানোর পর অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে বিএনপি পুনর্বহালের দাবি

দুমকীতে আ'লীগের ষড়যন্ত্রের শিকার হানিফ খান  বিএনপিতে পুনর্বহালের দাবি

মোঃ সজিব সরদার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে কাটানোর পর অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন সাবেক পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাষ্টার আবু হানিফ খান।

‎সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার নিউ স্টার চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কতিপয় প্রভাবশালী নেতাকর্মী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে বিএনপির রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে অপচেষ্টা চালায়।

‎লিখিত বক্তব্যে আবু হানিফ খান জানান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাঁর ছেলেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করে অনিচ্ছাকৃতভাবে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদানে বাধ্য করেন।সকালে যোগদান করানো হলেও বিকেলেই জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা তা স্থগিত করেন। এই ঘটনার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তখন থেকেই কার্যত দলহীন অবস্থায় জীবনযাপন করছেন।

‎তিনি আরও বলেন, এই পুরো ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা। ছেলেকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিএনপি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সেই চাকরির আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি।

‎আবু হানিফ খান তার রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, তার রাজনৈতিক পরিচয়ের মূল ভিত্তি বিএনপি। ১৯৮০ সালে জাগোদলের মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি, ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় ঐক্যজোটের সদস্যসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

‎সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি আবারো বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে চান। অনিচ্ছাকৃতভাবে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে পুনর্বহালের আবেদন জানান তিনি।

‎এ বিষয়ে বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে তাঁর পুনরায় সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হচ্ছে।