নাসিরনগরে আমন ধানের বাম্পার ফলন-কৃষকের মুখে হাসি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে রোপা আমন উফসী ও স্থানীয় জাতীয় ধান ১০,৪৩০ হেক্টর জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে,কৃষকরা আনন্দিত।

সুজিত কুমার চক্রবর্তী স্টাফ রিপোর্টার:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে রোপা আমন উফসী ও স্থানীয় জাতীয় ধান ১০,৪৩০ হেক্টর জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে,কৃষকরা আনন্দিত।
বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ উপজেলা সদর ইউনিয়ন আনন্দপুর, নাছিরপুর, দাঁতমন্ডল ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, এ বছর বিনা-৭, ব্রি-৭৫,ব্রি-৫১,ব্রি-৮৭,ব্রি-৩৪,ব্রি-১০৩ জাতের ধান জমিতে বেশি করা হয়েছে। ধানের ফলন বিঘা প্রতি ২০-২৫ মণ হয়েছে। নাসিরনগর সদরের কিরণ মিয়া, বিল্লাল মিয়া, সমিরন সরকার ও সঞ্জিত সরকার জানায়, এ বছর বিনা-৭, ব্রি-৫১ ও সুগন্ধি ব্রি-৩৪ জাতের ধান খুবই ভাল হয়েছে। নাসিরনগর উপজেলায় নাসিরনগর, বুড়িশ্বর, গোকর্ণ, পূর্বভাগ, চাপরতলা, গুনিয়াউক, কুন্ডা, ফান্দাউক, ধরমন্ডলে রোপা আমন বেশি চাষ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ধান কাটার উৎসব শুরু হচ্ছে। যেভাবে পারছে ধান কেটে মারাই দিয়ে ধান শুকিয়ে সংগ্রহ করছে। ধান কাটার শ্রমিকরাও ভালো মজুরি পাচ্ছে। ধান সংগ্রহ করতে মহিলাও পিছিয়ে নেই, সকলে মিলেই আনন্দের সাথে ধান সংগ্রহ করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেন, কৃষকরা যাতে অধিক ফসল পায় এবং রোগ বালাই পোকা মাকড় থেকে ফসল সুরক্ষার জন্য ১৩টি ইউনিয়নে নিয়োজিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত সু-পরার্মশ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এ বছর উপজেলায় রোপা আমন উফসী ১০,৪০০ হেক্টর, স্থানীয় ৩০ হেক্টর সহ মোট ১০,৪৩০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। যার সম্ভাব্য ফলন ৩৪,১০৬.১০ মে.টন চাউল। গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন,উপজেলার কৃষকেরা যাতে সহজে ধান সংগ্রহ করতে পারে এইজন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ধান কাটার কম্পাইট হারভেস্টার মেশিন রয়েছে। এ বছর কৃষকদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।




