ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য শতভাগ প্রস্তুত বিএনপি-রুমিন ফারহানা

ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি শতভাগ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য শতভাগ প্রস্তুত বিএনপি-রুমিন ফারহানা
সংগ্রহীত ছবি

ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি শতভাগ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘ সময়ের পর বাংলাদেশ একটা নির্বাচনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনটিকে ঘিরে মানুষের প্রত্যাশা-স্বপ্ন-আশা অনেক বেশি। বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এই রকম একটি নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছে।

বিএনপি চাইলে ২০১৪ ও ২০২৪ সালে অংশ নিতে পারত এবং বিরোধী দলেও যেতে পারত। কিন্তু বিএনপি চেয়েছিল বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন যখন হবে, তখন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। সেকারণে নানান রকম চড়াই-উতরাই, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নানা রকম দিয়ে ঝড়-ঝাপটার পরে বাংলাদেশ একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। বিএনপি নির্বাচনের জন্য শতভাগ প্রস্তুত।

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রস্তুতি কেমন, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এমন প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় রুমিন ফারহানা বলেন, “আগামীর বাংলাদেশ হবে সুস্থ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ। একটা সময় বাংলাদেশ নির্মূলের রাজনীতির মধ্যে দিয়ে গেছে। একটা সময় শিবিরের ভাইরা বলতেও পারতেন না তারা শিবিরের সমর্থক।

তাদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হতো। যখন আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়, তখন একটা রব উঠলো আবরার ফাহাদ শিবির করে। সেসময় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম একটা ট্রেডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ‘গিভ ব্যাড নেম অ্যান্ড দেন কিল্ড’। এই জায়গা থেকে তো বের হওয়ার একটা সুবর্ণ সুযোগ আমাদের হাতে এসছে। কেন সেটা আমরা কাজে লাগাব না?”

জামায়াত নিয়ে তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, “ভোটের মাঠে পরস্পরের ব্যাপারে মন্তব্য করা, পরস্পরের দুর্বলতম বিষয় নিয়ে জনগণকে জানানো এবং কথা বলা এটা খুব আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

বিশ্বব্যাপী নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে এটা হয়ে থাকে। আমরা যখন জামায়াতের স্লোগান দেখি, তখনও কিন্তু তারা বলেন—‘নৌকা-ধানের শীষ দুই সাপের এক বিষ’। অথবা তারা বলেন—‘চাঁদাবাজ অমুক-তমুক’। এটাকে সিরিয়াসলি নেই না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ জানে কার কী ভূমিকা কখন কোথায় কী রকম ছিল।

আগামীতে জামায়াত যদি ক্ষমতায় যায় ও ২০০ আসনও পায়, তবু জামায়াত জাতীয় সরকার গঠন করবে। বিএনপিকেও সেই সরকারে যেতে আহ্বান জানাবে—জামায়াত আমিরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘আগে ভোটটা হোক তারপরে আসন। আমরা তো এনসিপিকেও বলতে শুনেছি বিশেষ করে এনসিপির একজন অত্যন্ত ভোকাল নেতা বলেছেন—তারা ৩০০ আসনই বোধহয় পেয়ে যাবেন। জানি না ৩০০ আসন কিভাবে হয়? ভোটের আগে এ ধরনের অনেক কথা হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় সরকারের ইস্যুটা বিএনপির ৩১ দফায় পরিষ্কারভাবে বলা আছে। সকল দলের-মতের মানুষকে নিয়েই বিএনপি সরকার গঠন করবে। তারো আগে ২০১৬ সালে যখন ভিশন ২০৩০ দিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সেখানেও তিনি জাতীয় সরকারের কথা বলেছেন। সূত্র_কালের কন্ঠ