‎হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানে ৯ দালালের কারাদণ্ড ‎

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দালালচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৯ জন দালালকে আটক করেছে র‌্যাব-৯।

‎হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানে ৯ দালালের কারাদণ্ড  ‎

স্বপন রবি দাশ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:‎হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দালালচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৯ জন দালালকে আটক করেছে র‌্যাব-৯। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

‎মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে র‌্যাব-৯ এর সিপিসি-৩ (শায়েস্তাগঞ্জ) কোম্পানির একটি দল কোম্পানি কমান্ডার মেজর শাহ আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করে।

‎র‌্যাব জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল এলাকায় একটি দালালচক্র সক্রিয় ছিল। তারা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ফার্মেসির সঙ্গে যোগসাজশ করে রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যেত এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায় করত। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর র‌্যাব অভিযান চালায়।

‎আটক ব্যক্তিরা হলেন-বানিয়াচং উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামের প্রশন্ন দাসের ছেলে অশিত দাস (৪০), সতমুখা গ্রামের মজর আলীর ছেলে বিলু মিয়া (৪২), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পৈল গ্রামের আরজ আলীর ছেলে রমিজ আলী রনি (২৭), অনন্তপুর গ্রামের আইদর শাহের ছেলে মো. কামাল শাহ (২৫), আকল আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান রিপন (৪৩), আবদুল্লাহপুর গ্রামের নিখিল রায়ের ছেলে সৌরভ রায় (২২), চুনারুঘাট উপজেলার ফুলগাঁও গ্রামের বেলাল মিয়ার ছেলে আবদুল খালেক মিয়া (২৭), আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের নিকুঞ্জ ঘোষের ছেলে নিতু ঘোষ (৩৫) এবং সুনামগঞ্জ জেলার হাতিয়া গ্রামের হরুফ মিয়ার ছেলে কাউছার (৩০)।

‎র‌্যাব-৯ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর শাহ আলম বলেন, “দালালচক্রের কারণে হাসপাতালের সেবা ব্যাহত হচ্ছিল এবং অনেক রোগী প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন। কিছু অসাধু হাসপাতালকর্মীর সহযোগিতায় এই চক্র বিভিন্ন ক্লিনিক ও ফার্মেসিতে রোগী পাঠিয়ে মুনাফা অর্জন করত। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

‎অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও শিক্ষা কল্যাণ শাখার সহকারী কমিশনার মো. মহসীন মিয়া। তিনি আটককৃতদের প্রত্যেককে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রদান করেন।

‎হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, “র‌্যাব আটক ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করেছে। নিয়মিত মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।