বুড়িচংয়ে হাট বাজারে শীতের পিঠার ব্যবসা জমজমাট
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার হাট বাজারে শীতের পিঠা ব্যবসা জমজমাট, যেখানে বিভিন্ন ধরনের পিঠার পসরা নিয়ে বিক্রেতারা বসেছেন এবং ক্রেতাদের ভিড়ও দেখা যাচ্ছে।
মোঃ আবদুল্লাহ, বুড়িচং:কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার হাট বাজারে শীতের পিঠা ব্যবসা জমজমাট, যেখানে বিভিন্ন ধরনের পিঠার পসরা নিয়ে বিক্রেতারা বসেছেন এবং ক্রেতাদের ভিড়ও দেখা যাচ্ছে।

বিশেষ করে সন্ধ্যায় বিভিন্ন মোড় ও ফুটপাতে গরম ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পিঠার দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি ও খাওয়ার পালা। ভাপা পিঠা ছাড়াও চিতই, পাটিসাপটা, নকশি পিঠা, কুলি পিঠা এবং আরও অনেক ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। কিছু দোকানে 'পিৎজা চিতই পিঠা'র মতো আধুনিক পিঠাও বিক্রি হয়।
শীতের পিঠা বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং এই সময়ে পিঠা খাওয়া একটি জনপ্রিয় রীতি।
কংশনগর বাজারে প্রায় এক মাস আগে পিঠা তৈরীর সরঞ্জম নিয়ে বসেছেন আজাদ তিনি বলেন, প্রায় চার বছর ধরে ভাপা পিঠা, ডিম, চিতই, পিঠার ব্যবসা করে আসছি।
শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রি করি। অন্য মৌসুমে ফলের ব্যবসা করে চলে জীবন জীবীকা। তিনি বলেন, এখনও পুরোপুরি শীত আসেনি তাই প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার পিঠা।
চাল, গুড়, শরিষা এবং জ্বলানি কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ কিছুটা কম হয়। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে শীত বেড়ে গেলে বিক্রি দ্বিগুনরও বেশী হবে।

একই ভাবে সদর অফিস রোড, ভরাসার বাজার, ময়নামতি বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে বসে চিতই পিঠা বিক্রির দোকান। তাদের অনেকেই বলেন, শীতের মৌসুমে মাত্র তিন মাসেই যে লাভ হয়, তাতে প্রায় ছয় মাস চলে যায়।
বিষয়টি নিয়ে এবি পার্টির সদস্য হেলাল বলেন, গরিব মানুষের জন্য শীতের মৌসুমে একটা ভালো আয় হয়। কেউ পিঠা বিক্রি করেন, কেউ ধান ক্ষেতে কাজ করেন এভাবেই চলে তাদের জীবন জীবীকা।
তিনি বলেন, শীতের ২-৩ মাসে পিঠা বিক্রি করে অনেকেরই প্রায় ছয় মাসের আয় ঘরে আসে। এ ব্যবসা তাদের জন্য অবশ্যই লাভজনক। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সরকারি ভাবে সহায়তা দেয়া খুবই জরুরী।



