দেশ,মানুষ ও মায়ের টানে ফিরছেন তারেক রহমান

দেশের টানে, মানুষের টানে, মায়ের টানে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

দেশ,মানুষ ও মায়ের টানে ফিরছেন তারেক রহমান

দেশের টানে, মানুষের টানে, মায়ের টানে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তাঁর এই ফেরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যোগ করতে যাচ্ছে। এক–এগারোর নির্যাতন ও যন্ত্রণা সহ্য করেও তিনি দেশপ্রেম থেকে একচুলও নড়েননি। দেশপ্রেমের কঠিন পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন।

ঢাকামুখী জনস্রোত, সারা দেশের সব শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের ভালোবাসা ও আবেগই তার প্রমাণ।

দীর্ঘ প্রবাসজীবনের ইতি টেনে আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরছেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের কাছে দিনটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একমাত্র উত্তরসূরি তারেক রহমান।

দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিএনপির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।

২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনাসমর্থিত সরকার দুর্নীতির অভিযোগে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ১৮ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি মুক্তি পান।

এর এক সপ্তাহ পর, ১১ সেপ্টেম্বর, চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান তিনি। সেই সময় থেকেই লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক রহমান। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর তিন মাস পর তিনি দেশে ফিরছেন। ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রিয় নেতার দেশে ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।

দলীয় নেতাদের মতে, রাজনীতিতে বড় দল মানে শুধু বড় সংগঠন নয়; বরং বড় দায়িত্ব।

বিএনপি বড় দল বলেই মানুষের প্রত্যাশাও বেশি। এই প্রত্যাশা কেবল নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের নয়; বরং রাজনৈতিক আচরণে পরিপক্বতা, ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা এবং নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা দেখানোর।

বিএনপির জন্ম হয়েছিল রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা থেকে। ১৯৭৮ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দলটি প্রতিষ্ঠার সময় ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ছিল এর মূল দর্শন। তাঁর ঘোষিত ১৯ দফা কর্মসূচি ছিল তৎকালীন সংকটগ্রস্ত রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল ও গণমুখী করার একটি সুসংহত প্রয়াস।

সম্প্রতি বিভিন্ন আলোচনায় তারেক রহমান বারবার বলেছেন, দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা আরও জোরদার করতে হবে। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মীর আচরণ যে দলের কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিফলন নয়, সে বিষয়ে সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হতে চায়। স্বৈরাচার–পরবর্তী বাংলাদেশে মানুষ আর ‘ক্ষমতায় গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে’—এই যুক্তিতে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা দেখতে চায়, বিএনপি নিজের ভেতর থেকেই শুদ্ধতার প্রক্রিয়া শুরু করুক এবং তারেক রহমান তাদের প্রত্যাশা পূরণ করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের নেতা হয়ে উঠুন।

মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ তারেক রহমান মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে করে যাচ্ছেন। অনেকটা নীরবে, নিভৃতে। দরিদ্র, অসহায়, বিপদগ্রস্ত মানুষ এবং গুম ও হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলোর পাশে তিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। কারও চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন, কারও শিক্ষার ব্যয় বহন করেছেন।

গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন তিনি। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ ও ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’-এর মতো সংগঠনের মাধ্যমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সারা দেশে আর্তমানবতার সেবায় যুক্ত রয়েছেন।

সূত্র_কালের কন্ঠ