মাহিন্দ্রা চালককে হত্যার দায়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রীসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল-সমাবেশ

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মাহিন্দ্রা চালককে পিটিয়ে হত্যার দায়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ হত্যাকান্ডে জড়িত স্থানীয় আ.লীগ নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ

মাহিন্দ্রা চালককে হত্যার দায়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রীসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল-সমাবেশ

মোঃ সিফাত রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক মাহিন্দ্রা চালককে পিটিয়ে হত্যার দায়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ হত্যাকান্ডে জড়িত স্থানীয় আ.লীগ নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জুমা নামাজ শেষে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের আড্ডা-শেরপুর গ্রামে এই মিছিল ও সমাবেশ হয়। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর আয়োজনে শেরপুর জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আড্ডা বাজারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাতের অন্ধকারে একজন সাধারণ মাহিন্দ্রা চালককে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে নেয়ামতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোতালিব হোসেন বাবারের নেতৃত্বে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয় আ.লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী। এছাড়াও হত্যার পরদিন ১১টি দোকান ও বাড়ি থেকে গরু-ছাগল লুটপাট করে হত্যাকারীরা। এই হত্যাকান্ডের প্রায় ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও ৩৫ জন আসামীর একজনকেও আটক করেনি পুলিশ। উল্টো এখনও আসামীরা নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে নিহতের পরিবারের সদস্যদের। সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আসামী না ধরার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানারকম ষড়যন্ত্র করেছে। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান গোমস্তাপুর থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ। গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে আটটার দিকে শেরপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ফসলী জমিতে নিয়ে গিয়ে মাহিন্দ্রা চালক জয়নাল আবেদিনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আ.লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী। দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন জয়নাল আবেদিন। নিহত জয়নাল আবেদীন শেরপুর গ্রামের মো. মাহবুবুর রহমানের ছেলে।