বুড়িচংয়ে সরকারি হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ

শীতের আমেজ পুরোপুরি নেমে আসাতেই কুমিল্লার বুড়িচং সরকারি হাসপাতালে হঠাৎ বেড়ে গেছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা

বুড়িচংয়ে সরকারি হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ

মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং:শীতের আমেজ পুরোপুরি নেমে আসাতেই কুমিল্লার বুড়িচং সরকারি হাসপাতালে হঠাৎ বেড়ে গেছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। গত ১০ দিনে শিশু ও পুরুষ - মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৪৪ রোগী। শিশু -১৭৭ ও পুরুষ - মহিলা - ১৬৭ জন।

অধিকাংশই ও প্রবীন নাগরিক। বাড়তে চাপের কারণে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের সার্বিক তৎপরতা জোরদার করা হলেও রোগীর চল সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে

সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক রোগী বেড না পেয়ে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে কান্নার শব্দ, 

হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তারদের একজন জানান, গত ১০ দিনে হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়েছে। মূলত ঠান্ডাজনিত জ্বর,কাশি,সর্দি, শ্বাসকষ্ট সহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেশি। প্রবীণদের ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে নিউমোনিয়া, হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতা। বৃদ্ধ ফরিদ (৬৫)শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর পাশে বসে থাকা ছেলে বলেন,বাবার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। গ্রামে ডাক্তার দেখালাম, কিন্তু কাজ হলো না। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে আনতেই হলো। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন,শীতের শুরুতে সাধারণত ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা বাড়ে। কিন্তু এবার রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে অভিভাবকরা একটু অসচেতন থাকলে জটিলতা বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকদের মতে, শীতের সময় শিশুকে অতিরিক্ত ঠান্ডা অথবা অতিরিক্ত গরম পরিবেশে না রাখা, পরিস্কার - পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, ধূলোবালি থেকে দূরে রাখা এবং হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট ভুগছেন এমন প্রবীনদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি।কোনো উপসর্গ দেখা দিলে সময়ক্ষেপন না করে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়াই উত্তম। 

স্থানীয়রা বলছেন, সরকারি স্বাস্থ্যসেবার প্রতি মানুষের আগ্রহ আগের তুলনায় বেড়েছে। নিয়মিত সেবা পাওয়া গেলে জনগণের আস্থা আরও মজবুত হবে বলে তারা মত দেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মালেকুল আফতাব ভূইয়া বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি যেন কোনো রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেবা কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “জনবল ও অবকাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা ধাপে ধাপে সেবার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করছি।