দুমকিতে ধান চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

পটুয়াখালীর দুমকিতে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় নতুন আশায় বুক বাঁধছে কৃষকরা। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মাঠজুড়ে এখন গাঢ় সবুজ আমন ধানের চারা দোল খাচ্ছে হেমন্তের হিমেল হাওয়ায়। দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহে প্রকৃতিও যেন পরেছে উৎসবের সাজ।

দুমকিতে ধান চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মোঃ সজিব সরদার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় নতুন আশায় বুক বাঁধছে কৃষকরা। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মাঠজুড়ে এখন গাঢ় সবুজ আমন ধানের চারা দোল খাচ্ছে হেমন্তের হিমেল হাওয়ায়। দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহে প্রকৃতিও যেন পরেছে উৎসবের সাজ।

‎প্রতি গ্রামের কৃষকরা এখন আমন ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনে তারা সচেতন ভূমিকা রাখছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারের মৌসুমে কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক।

‎উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে শ্রীরামপুর, আংগারিয়া, মুরাদিয়া, লেবুখালী ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে মোট ৬ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও, বাস্তবে এর চেয়ে বেশি জমিতে চাষ হয়েছে।

‎উঁচু জমিতে আগাম জাতের ধান ইতিমধ্যে পাকা শুরু করেছে, কোথাও কোথাও ধানের শীষ উঁকি দিচ্ছে— আবার কিছু জমিতে গামর (ধানের ফুল আসার ধাপ) দেখা যাচ্ছে।

‎অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, উপজেলার প্রায় সব মাঠেই এখন আমন চারা সবুজে ভরে গেছে। মাঠজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে এক অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য।

‎শ্রীরামপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, “এই মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সময়মতো আমন চারা রোপণ করতে পেরেছি। কোনো রোগবালাই না থাকায় এবার ধান অনেক ভালো হয়েছে। আশা করি,গত বছরের চেয়ে ভালো ফলন পাব।

‎একই কথা জানান মুরাদিয়া ইউনিয়নের কৃষক মাইনুল ইসলাম। তিনি বলেন,“আমাদের এলাকায় সব মাঠেই এবছর ধান ভালো হয়েছে। সবাই বলছে, এবার বাম্পার ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।

‎দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইমরান হোসেন জানান,“কৃষকদের আমন চাষে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সরকারি প্রণোদনা এবং মাঠপর্যায়ে পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে। নদী বিধৌত পলিযুক্ত এই এলাকার জমি আমন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। পোকামাকড় দমনে আলোক ফাঁদ ও পারসিং পদ্ধতির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি।